বাজারে চিনা রসুনের আক্রমণ! স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা!

বাজারে গিয়েই মধ্যবিত্তদের হাতে রোজ ছ্যাঁকা লাগে। সাধারণ আলু-পটলের যা দাম তাতেই সংসার সামলাতে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে গৃহিণীরা। তারমধ্যে বাজারে সবজির দাম হুহু করে বেড়েই…

বাজারে গিয়েই মধ্যবিত্তদের হাতে রোজ ছ্যাঁকা লাগে। সাধারণ আলু-পটলের যা দাম তাতেই সংসার সামলাতে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে গৃহিণীরা। তারমধ্যে বাজারে সবজির দাম হুহু করে বেড়েই চলেছে। কিছুদিন আগেই রসুনের দাম ছিল ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি। বর্তমানে সেই রসুন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০ টাকা কেজি। এবার রসুন খেয়ে নয়, রসুনের দাম শুনেই চোখে ঝাঁঝ লাগছে বাঙালির।

খাদ্যরসিক বাঙালির পাতে রবিবার মাংস-ভাত থাকবেই। আর মাংসকে সুস্বাদু করে তোলে রসুন। রসুন ছাড়া বাঙালির খাদ্যতালিকার অর্ধেক রান্নাতেই মনমতো স্বাদ আসবে না। কিন্তু দামের কারণে অনেকেই রসুনকে আর ঘরে তুলতে পারছে না। সবজি বিক্রেতাদের ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দিচ্ছে। তাই একদশক আগে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও চিনা রসুন জায়গা করে নিয়েছে ভারতের বাজারে।

   

বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন এর ফলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে। সদ্যই গুজরাতের ‘গোন্ডাল এগ্রিকালচার প্রোডিউস’ বাজারে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭৫০ কেজির চিনা রসুন উদ্ধার করা হয়েছে। তা দেখে হতবাক তার আশেপাশের সবজি বিক্রেতারা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনা হয়েছে।

কিন্তু ভারতীয় রসুন আপনি ছুঁবেন কী করে? কোয়া ছোট, কম সাদাগুলো হলই ভারতীয় রসুন। দেখতে ভালো হলেও স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয় এই রসুন। ভারতে নিষেধাজ্ঞা জারির পর বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে এই ধরনের চোরাচালান বেড়েছে। পরীক্ষা করার পর ২০১৪ সালে চিনা রসুনে ছত্রাকের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধবধবে সাদা এই সেই রসুনে থাকত মিথাইল ব্রোমাইড।

বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, নিয়মিত মিথাইল ব্রোমাইড খাওয়া হলে স্নায়ুর সমস্যাও হতে পারে। নষ্ট হয়ে যেতে পারে স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি। এছাড়াও বিকল হতে পারে কিডনি ও লিভারও। সম্প্রতি শুল্ক বিভাগ ১৪০০ কুইন্টাল চিনা রসুন নষ্ট করেছে।