জুনিয়ার চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে এবার কর্মবিরতির ‘হুঁশিয়ারি’ সিনিয়রদেরও

টানা ৪৪ ঘন্টা কেটে গিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন৷ রোদ,বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এখনও তাঁরা তাঁদের পাঁচ দফা দাবিতেই অনড় রয়েছে৷ যদিও সরকারের তরফ…

টানা ৪৪ ঘন্টা কেটে গিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন৷ রোদ,বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এখনও তাঁরা তাঁদের পাঁচ দফা দাবিতেই অনড় রয়েছে৷ যদিও সরকারের তরফ থেকে দফায় দফায় ইমেল চালাচালি হলেও আসল সমস্যার সমাধান হয়নি এখনও৷ উল্টে হবু ডাক্তারেরা বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের৷ পাশে রয়েছেন সকলেই৷ এবার পাশে এসে দাঁড়ালেন সিনিয়র ডাক্তররাও।

বুধবারই নবান্নে শিল্প সংক্রান্ত বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,“ওরা কেন এত জেদ করছে? ওরা যা বলবে সব মানতে হবে?” সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি ৷ এরপরই স্বাস্থ্যভবনের বাইরে ধরনা মঞ্চে আসেন একদল সিনিয়র ডাক্তাররা৷ তাঁরা এসে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেমে আসে, তাহলে আমরা বাধ্য হব কর্মবিরতির মতো কোনও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।”

   

স্বাস্থ্য ভবনের সামনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে সিনিয়র চিকিৎসকেরা বলেন, আমরা আশা করেছিলাম,দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য, প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে বৈঠকে বসতে রাজি হবেন। কিন্তু গত দুই দিন কেটে গেলেও এখনও কোনও সুরাহা মিলল না৷
রোগীদের সেবা করাই ডাক্তারদের প্রধান কাজ৷ তাই জুনিয়র ডাক্তাররা অবশ্যই কাজে ফিরতে চান,কিন্তু যখন দোষীরা গ্রেফতার হননি, এবং প্রত্যেকটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেভাবে এখনও হুমকি সিন্ডিকেট চক্রের পান্ডারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন,তখন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার কথাও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় শোনা গেল না। তাহলে কীভাবে তাঁরা ফের কাজে ফিরবেন৷ আমরা সিনিয়র চিকিৎসকরা জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে সর্বদাই আছি।