উদয়ন-অতীশ সরকারদের পর এবার জুনিয়ার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সরব আরও এক তৃণমূল নেতা (TMC)। আন্দোলনকারী (RG kar protest) জুনিয়ার ডাক্তারদের দেশদ্রোহী বলে দাবি করেন উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া পঞ্চায়েতের সদস্য চন্দন মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বসিরহাটের একটি জনসভায় আন্দোলনকারীদের প্রতি এমনই মন্তব্য করেন বাদুড়িয়ার ওই তৃণমূল নেতা। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ফলে বহু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসায় গাফিলতির ফলে বিপাকে পড়তে হয়েছে একাধিক রোগীকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করছেন তাঁরা। আর এই ঘটনাকে দেশদ্রোহীতার মতোই অপরাধ বলে দাবি করেন ওই পঞ্চায়েত নেতা।
অভিজিতের মতোই গো ব্যাক স্লোগানে পিছু হটলেন অগ্নিমিত্রা
আর তৃণমূল নেতার এই বক্তব্য সামনে আসতেই ফের ছড়িয়েছে বিতর্ক। শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কিছুদিন আগে ‘রাত দখলে’র আন্দোলনকারী মেয়েদের নিয়েও কুমন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেতা অতীশ সরকার। তিনি আন্দোলনকারী মেয়েদের ছবি বিকৃত করে দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখার কথা বলেছিলেন। যার জেরেই ছড়ায় বিতর্ক। পরে ওই নেতাকে এক বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল।
তার আগে আন্দোলনকারীদের আঙুল ভেঙে দেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহও। শাসক দলের হেভিওয়েট নেতাদের পক্ষ থেকে এই ধরনের মন্তব্যে যথেষ্ট বেকায়দায় পড়তে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্দোলনে উন্মত্ত জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাঁদের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন বাড়ছে সাধারন মানুষের।
রহস্যমন্ডিত আরজি করে মর্গেও দুর্নীতির থাবা, জড়িয়ে ‘উত্তরবঙ্গ’ সিন্ডিকেট
মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্যসচিবের অপসারনের দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, ‘‘দাবি না মিটলে অবস্থান চলবে।’’
সাধারন মানুষের সমর্থন পাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। সকাল সকালই অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করলেন তাঁরা। দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলের অভিভাবকেরা এসেছেন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন খাবার।
ভিড়ে ঠাসা মেট্রো, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য ফের ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা
গতকাল থেকেই আলোচনার জন্য জুনিয়ার ডাক্তারদের প্রস্তাব পাঠানো হয় নবান্নের তরফে। যদিও সেই প্রস্তাব ‘আন্তরিক’ নয় বলে প্রত্যাখান করেন আন্দোলনকারীরা। স্বাস্থ্য সচিব সহ বেশ কিছু অধিকর্তাকে অপসারনের দাবিতে অনড় বিক্ষোভকারী ডাক্তারেরা। বারবার প্রস্তাব প্রত্যাখানে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।