নতুন ফুটবল মরসুমের জন্য আনোয়ার আলিকে সই করিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক। কিন্তু এখনই মাঠে নামতে পারবেন না এই ভারতীয় ডিফেন্ডার। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৪টে মাস মাঠ বাইরে থাকতে হবে এই তারকা ফুটবলারকে। এক কথায় বিরাট ধাক্কা। তাঁর অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে প্রভাব ফেলবে দলের রক্ষণভাগে। হাতে মাত্র তিনটে দিন। তারপরেই আইএসএল অভিযান শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল।
তাঁর আগেই এমন সিদ্ধান্ত যথেষ্ট ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে ময়দানের এই প্রধানকে। উল্লেখ্য গত কয়েক মরসুম ধরেই ডিফেন্স সমস্যায় জর্জরিত থেকেছে মশাল ব্রিগেড। যারফলে এগিয়ে থেকেও একাধিক ম্যাচে পরাজিত হতে হয়েছিল কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেদের। সেই ভুল ক্রুটি শুধরে নিয়েই এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই লাল-হলুদের কাছে। কিন্তু আনোয়ার আলির অনুপস্থিতিতে কারা সামলাবেন দলের রক্ষণভাগ?
নয়া সিজনের জন্য হিজাজ মাহের থেকে শুরু করে হেক্টর ইউস্তের মতো বিদেশি ফুটবলারদের আগেই চূড়ান্ত করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সব ঠিকঠাক থাকলে আইএসএলের প্রথম থেকেই রক্ষণভাগে দেখা যেতে পারে দুই ফুটবলারকে। কিন্তু ভারতীয় ডিফেন্ডার নিয়েই দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। তবে লালচুংনুঙ্গার পাশাপাশি গুরসিমরত সিং গিলের মতো ফুটবলার দলে থাকলেও নয়া সিজনের ডুরান্ড কাপে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি কেউ। এছাড়াও মোহাম্মদ রাওকিপ থাকলেও এখনও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই ফুটবলার।
যারফলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শুরু থেকেই শক্তিশালী রক্ষণভাগ সাজাতে কার্যত হিমসিম খেতে পারেন কুয়াদ্রাত। অপরদিকে ডুরান্ডের পারফরম্যান্স ভুলে দুই বিদেশি ডিফেন্ডারের সঙ্গে জুটি বেঁধে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য লালচুংনুঙ্গাদের। পাশাপাশি পরিস্থিতি বুঝে রিজার্ভ দল থেকে ও বেশ কয়েকজন ফুটবলারদের সিনিয়র দলে প্রমোট করতে পারেন লাল-হলুদ কোচ। তবে নয়া আইএসএল মরসুমে ও লালচুংনুঙ্গা থেকে শুরু করে গুরসিমরত ও রাওকিপদের উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে সকলকে।