জুনিয়র চিকিৎসকের কর্মবিরতির কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩, দাবি রাজ্যের

আজ সুপ্রিম কোর্টে ফের শুরু হল আরজি কর  (RG Kar) মামলার শুনানি। শুনানির শুরুতেই রাজ্য সরকার দাবি করল যে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণ চিকিৎসা পাননি…

আজ সুপ্রিম কোর্টে ফের শুরু হল আরজি কর  (RG Kar) মামলার শুনানি। শুনানির শুরুতেই রাজ্য সরকার দাবি করল যে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণ চিকিৎসা পাননি বহু মানুষ। এই কারণে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ জন মানুষ। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ইমার্জেন্সি পরিষেবা চালু থাকলেও, ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে হাসপাতলে আসা বিভিন্ন রোগীদের। 

প্রথম দিনে আরজি কর মামলার শুনানি শেষ হতেই সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে তারাও যেন আরজি মোর হাসপাতলে যে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে তাঁর ওপরেও তদন্ত করে একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে পুলিশকে। আজ এই রিপোর্টগুলি জমা দেয় দুই পক্ষ।

   

এদিন রাজ্যের তরফে দাবি করা হয় যে রাজ্যে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসা না পেয়ে শুধু ২৩ জনই মারা যাননি। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ৬০০০ মানুষ। রাজ্যের আইনজীবীর অভিযোগ চিকিৎসকরা আন্দোলনের জন্য কোনও অনুমতি নেননি পুলিশের কাছ থেকে। এছাড়াও এই আন্দোলনে ৪১ জন পালিশ কর্মী আহত হয়েছেন এবং চোখ নষ্ট হয়েছে গিয়েছে এক পুলিশকর্মীর।

ইডি সমনের বিরুদ্ধে অভিষেকের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

এর উত্তরে চুপ থাকেননি চিকিৎসকদের আইনজীবীরা। তাঁরা জানান যে জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এর উত্তরে বিচারপতি চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেন, “চিকিৎসকদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়া উচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ হবে না, আমরা তো বলেছি। ওই ডাক্তারেরা কাজে যোগ না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করলে আমরা বাধা দিতে পারব না।”

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়ে দিয়েছেন যে আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে চিকিৎসকদের। এছাড়া রাজয়দের উদ্দেশ্যে আদালতের সতর্কতা, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবেন না তাঁরা। তাঁর কথায়, “বাস্তব পরিস্থিতি কী চলেছে আমরা সবাই জানি। কিন্তু ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে।’’ জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ হবে না আমরা তো বলেছি। আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য।’’ এর পরেও যদি কোনও চিকিৎসক কাজে যোগ না দেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করলে আমরা বাধা দিতে পারব না।’’