‘মানুষ যা চাইছেন উনিও তাই চাইছেন’, জহরের ইস্তফা নিয়ে সাফাই কুণালের

আরজি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জহর সরকার (Jahar Sircar)। যা নিয়ে রবিবার সকাল থেকেই রীতিমতো শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। এই…

tmc mp jahar sarkar resignation from party its his personal decision said kunal ghosh

আরজি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জহর সরকার (Jahar Sircar)। যা নিয়ে রবিবার সকাল থেকেই রীতিমতো শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। এই ‘হেভিওয়েট’ সাংসদের ইস্তফাতে দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে ডামাডোল। প্রসার ভারতীর প্রাক্তন প্রধানের ইস্তফার পর জল্পনা শুরু হয়েছে আরও এক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে নিয়েও। যদিও এই ‘জল্পনা’ নিয়ে অবশেষে দলের পক্ষ থেকে মুখ খোলেন তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। 

“অনেক হয়েছে, এবার সতর্ক হোন…”, ব্রিজ ভূষণকে কড়া বার্তা বিজেপি’র

   

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্ট বলেন, ” জহর সরকারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, মানুষের ইচ্ছাই হয়তো তাঁর ইচ্ছা। ওনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। ” তবে জহর সরকারের পদত্যাগ ইস্যুতে কুণাল ঘোষ যতই সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করুক, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর কাছে দলের ভাবমূর্তি যে একেবারেই ক্ষুণ্ন হয়েছে, তা মানতে দ্বিধা করছেন না কেউই। তাই আরজি কর ইস্যুতে দলের ভাবমূর্তি পুণরুদ্ধারের মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও খুব একটা ইতিবাচক ফল পাচ্ছে না তৃণমূল। দলের এই কোনঠাসা অবস্থানে আরও অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিধায়ক-সাংসদের ভূমিকা।

রবিবার ফের রাত দখল, ‘অভয়া’র বিচারে দাবিতে প্রতিবাদে সামিল গোটা বিশ্ব

আরজি কর ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও আন্তরিক ও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল বলে দাবি করেন প্রাক্তন সাংসদ জহর সরকার। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে পদত্যাক করেন তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘কোনও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের এমন ক্ষোভ আমি আগে দেখিনি। আপনার সক্রিয় হস্তক্ষেপ আশা করেছিলাম। কিন্তু আশাহত হলাম। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশয় দেওয়ার কারণে সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়ছে। এখন সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তা অনেক দেরি হয়ে গেছে।’

রুশ-ইউক্রেন শান্তি প্রক্রিয়ায় ‘সক্রিয়’ ভারত, মস্কোয় ‘পুতিন-সাক্ষাৎ’ করবেন ডোভাল

আরজি কর-কাণ্ডের আবহে সাংসদের এহেন পদক্ষেপ তৃণমূলের কাছে যে যথেষ্ট ধাক্কার তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সাংসদ পদ ছাড়ার পাশাপাশি তিনি রাজনীতি ছাড়ারও ঘোষণা করেছেন।