আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের গ্রেফতারির পর সিবিআইয়ের আতশকাঁচের তলায় ছিল এই কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে সকলের সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বসলেন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী।
আরজি করে এই দুই ঘটনার তদন্তের জন্যই প্রাক্তন অধ্যক্ষের বেলেঘাটা বাড়িতে এর আগে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এবার শুক্রবার সকালেও সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডির আধিকারিকরা। ইডির আধিকারিকরা প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়ির গেটের সামনে আসতেই চাবি নিয়ে বাইরে মুখ ঢেকে এসে দাঁড়ান সন্দীপ-পত্নী।
সেখানে এসেই তিনি দাবি করে বলেন, “সবরকমভাবে সব তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করছি। সময়ে প্রকাশ পাবে। কাগজপত্রে কিস্যু পাওয়া যায়নি। পাওয়া যাবেও না। উনি কিছুই করেননি। সেটা আপনারাও জানতে পারবেন। সমস্ত মিথ্যা। প্রমাণ হওয়ার আগেই কাউকে ভিলেন বানিয়ে দেবেন না, এটা আমার রিকোয়েস্ট।” প্রসঙ্গত, এদিন সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটা বাড়ির পাশাপাশি হুগলির চন্দননগর পাদ্রিপাড়ায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও গেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সেইসঙ্গে ক্যানিং-এ প্রাক্তন অধ্যক্ষের একটি বাংলোরও হদিশ মিলেছে। তবে শুধু সন্দীপ ঘোষই নয়, এর পাশাপাশি সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ একাধিক ভেন্ডার, ব্যবসায়ীর বাড়িতেও অভিযান চালানো হচ্ছে। হাওড়ায় কৌশিক কোলে, সুভাষগ্রামে প্রসূন চট্টোপাধ্য়ায়, হুগলির কুণাল রায়, বিপ্লব সিংহ ও সল্টলেকে ব্যবসায়ী স্বপন সাহার বাড়িতে এদিন হানা দিয়েছে ইডি।
তবে বর্তমানে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দুই ভেন্ডার সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংহ। আর এরা দু’জনই সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বেশ কিছু নাম উঠে আসছে। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে সব মিলিয়ে বর্তমানে বেশ চাপে রয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।