‘অপরাজিতা বিল’-এর মতো ধর্ষণ-বিরোধী বিল চাই মহারাষ্ট্রেও, দাবি পাওয়ারের

বাংলায় আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনায় উত্তপ্ত সমগ্র দেশ। এরই মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ধর্ষণের মতো নক্ক্যারজনক ঘটনায় মঙ্গলবার বিধানসভায় ‘অপরাজিতা বিল’ পেশ…

বাংলায় আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনায় উত্তপ্ত সমগ্র দেশ। এরই মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ধর্ষণের মতো নক্ক্যারজনক ঘটনায় মঙ্গলবার বিধানসভায় ‘অপরাজিতা বিল’ পেশ করে। আর এই বিল আনার পরেই রাজ্য-রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে তৃণমূলের একটা চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এর মধ্যে এনসিপি সভাপতি শরদ গোবিন্দ পওয়ার (Sharad Pawar) এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন। শুধু তাই নয়, এই বিলের প্রশংসা করে মহারাষ্ট্রেও এই রকম বিল আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর সংসদে কঠোর আইনের দাবি তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেসময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কেন্দ্র যদি দ্রুত বিচার পক্রিয়া শেষ করে চূড়ান্ত শাস্তির বিল না আনে, তাহলে তিনি সাংসদ হিসাবে ব্যক্তিগত ভাবে বিল আনবেন। এরপরেই রাজ্য বিধানসভায় বিল আনার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। ঠিক কী বলেছিলেন শরদ গোবিন্দ পওয়ার?

   

এক সংবাদমাধ্যমকে এনসিপি সভাপতি জানিয়েছেন, “বাংলায় যে বিল আনা হয়েছে, তাতে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের উল্লেখ রয়েছে। মহলারাষ্ট্রেও সেই রকম বিল নিয়ে আসা প্রয়োজন।” পওয়ারের বক্তব্য তুলে তৃণমূল জানিয়েছে, বাংলাই সবসময়ে দেশকে পথ দেখায়। এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা লিখেছেন, “বাংলা পথ দেখায়।”

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কথায়, “নারী সুরক্ষায় যে নজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন তাকে সমর্থন করেছেন জাতীয় স্তরের নেতা শরদ পওয়ারও। এ থেকেই স্পষ্ট, বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশকে কাল তা ভাবতে হয়।” অন্যদিকে এ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, “মঙ্গলবার যে বিল পাশ হয়েছে তা ইতিহাস তৈরি করেছে। বিভিন্ন রাজ্যে এই বিলের মতো বিল আনার চিন্তুাভাবনা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই শরদ পওয়ারের মতো নেতা মহারাষ্ট্রে এই রকম বিলের দাবি তুলেছেন।” যদিও বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমেই এই বিল পাশ হয়েছে। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটের কেউই এখনও ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেনি। এমন পরিস্থিতিতে এনসিপি সভাপতি শরদ গোবিন্দ পওয়ার এই বিল নিয়ে প্রশংসা করে তাহলে কি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে নীরবে দাঁড়ালেন? উঠছে প্রশ্ন।