হাইকোর্টে বিনীত গোয়েলের অপসারণ মামলা, কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

কলকাতা: আরজি কর মামলায় উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে রয়েছে বাংলা তথা সমগ্র দেশে। এই ঘটনায় দিকে দিকে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভে সামিল হননি এমন কোনও…

কলকাতা: আরজি কর মামলায় উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে রয়েছে বাংলা তথা সমগ্র দেশে। এই ঘটনায় দিকে দিকে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভে সামিল হননি এমন কোনও মানুষকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। এদিকে মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে এহেন নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে কর্মবিরতির চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। তাঁদের দাবি, অপসারণ করতে হবে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal) কে। ইতিমধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিনিধি দল সিপির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে একটি ‘শিরদাঁড়া’-ও উপহার দিয়েছেন। কিন্তু এবার নতুন করে বিপাকে পড়লেন বিনীত গোয়েল।

কলকাতা পুলিশ কমিশনারের অপসারণ নিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। আর এই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী অমৃতা পাণ্ডে। কিন্তু এই বিষয়ে এবার বড় মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানব। তিনি জানিয়ে দিলেন, সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু আরজিকর মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে, এহেন অবস্থায় এ বিষয়ে তিনি কোনও অনুমতি দিতে পারেন না।

   

অর্থাৎ আদালতের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরই আদালত এই বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে। উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোমবার কলকাতায় বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছেন, বিনীত গোয়েলের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।

আরজি কর মেডিকেল কলেজ ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে ছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বিনীত গোয়েল ১৯৯৪ ব্যাচের অফিসার। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সৌমেন মিত্রের কাছ থেকে নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন সিনিয়র আইপিএস অফিসার বিনীত কুমার গোয়েল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই বিনীত গোয়েল।

বিনীত গোয়েল আবার আইআইটি খড়গপুর এবং আইআইটি কানপুরের প্রাক্তন ছাত্র। কলকাতার পুলিশ কমিশনার হওয়ার আগে বিনীত গোয়েল কলকাতা পুলিশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভের আগে বিজেপিও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেছে।

বিনীত গোয়েল কলকাতার ৪৪তম পুলিশ কমিশনার। এর আগেও দু’বার প্রেসিডেন্ট গ্যালান্ট্রি মেডেল পেয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে জাতীয় মাওবাদী নেতা কিষেণজিকে গ্রেফতার ও ফাঁসি দেওয়ার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর কাজ স্মরণীয় হয়ে আছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার হওয়ার সময় গোয়েল এসটিএফের এডিজিপি ছিলেন।

কলকাতার ঘটনায় ১৪ অগস্ট রাতে হাসপাতালে উত্তেজিত জনতার হামলার ঘটনায় পুলিশ কমিশনারকে ঘিরে রাখা হয়। এদিকে কলকাতা পুলিশের তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।