Bangladesh: মধ্যরাতে সশস্ত্র অভিযানে বাংলাদেশ, ভারত সীমান্তে কড়া সতর্কতা

বাংলাদেশের (Bangladesh) সর্বত্র সতর্কতা জারি। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে সশস্ত্র অভিযান। ভারত সীমান্তবর্তী সব অঞ্চলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)-কে বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।…

Bangladesh army

বাংলাদেশের (Bangladesh) সর্বত্র সতর্কতা জারি। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে সশস্ত্র অভিযান। ভারত সীমান্তবর্তী সব অঞ্চলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)-কে বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনার পতনের ঠিক আগে ও তাঁর সরকার পতনের পর যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে থানাগুলিতে হামলা হয়েছিল। তাতে বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র লুট করা হয়। সেই লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে মঙ্গলবার রাত বারটা থেকে শুরু হচ্ছে যৌথ বাহিনীর অভিযান।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এই অভিযানে মাদকের গডফাদারদেরও ধরা হবে। তিনি জানান, “রাত বারোটা থেকেই যৌথ বাহিনীর অপারেশন শুরু হবে। হাতিয়ার কালেকশনের জন্য”।

   

তিনি বলেন, “মাদক নিয়ন্ত্রণটা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। এজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি, যেন এটা নিয়ন্ত্রণের ভিতরে চলে আসে। এবং মাদকের গডফাদারদের যেন আমরা আইনের আওতায় আনতে পারি”।

বিবিসি’র খবর, মঙ্গলবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দূর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঢেলে সাজানো হবে। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিভাবে উন্নতি করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকার সকল দুষ্কৃতিকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে। দল-মত নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থান প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা বিচার করতে বদ্ধপরিকর। এতে বলা হয়েছে, “উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকার যখন বিচারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে জাতিসংঘকে (রাষ্ট্রসংঘ) সত্য অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে,ঠিক সেই সময়ে কিছু অতি উৎসাহী এবং স্বার্থান্বেষী মহল আইন নিজের হাতে তুলে নেবার এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদের নামে প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের উপর চাপ প্রয়োগ, আদালতে আসামিকে আক্রমণ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে”।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলা হওয়া মানেই যত্রতত্র গ্রেফতার নয়। এই সকল মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দপ্তরে জানাতে হবে। কোনভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও বা কোনো রকম সহিংস আচরণ করা যাবে না”। “সরকারের পক্ষ থেকে তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলা হবে এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ দূর করার ব্যবস্থা নেয়া হবে”।