নেকড়ের হামলায় এবার আহত ৫ বছরের শিশু, চরম আতঙ্ক

ফের নেকড়ের (Wolf Attack) আক্রমণে আহত পাঁচ বছরের এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ (Uttar Pradesh Bahraich) জেলার গিরধরপুর এলাকায়। জানা যাচ্ছে, গতকাল অর্থাৎ ২…

ফের নেকড়ের (Wolf Attack) আক্রমণে আহত পাঁচ বছরের এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ (Uttar Pradesh Bahraich) জেলার গিরধরপুর এলাকায়। জানা যাচ্ছে, গতকাল অর্থাৎ ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যরাতে গিরধরপুর এলাকায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এই হামলার পরেই সেই কিশোরীকে দ্রুত কমিউনিটি হেলথ সেন্টার মহাশী নামে একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই হামলার পরে মেয়েটির ঘাড়ে ও মাথায় আঘাত পেয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে কর্মকর্তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, মেয়েটি এদিন বাড়িতে তাঁর দাদীর পাশে ঘুমোচ্ছিল ঠিক তখনি মধ্যরাতে ওই কিশোরীকে হঠাৎ আক্রমণ করে ওই নেকড়ে। কিন্তু তাঁর পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের তৎপরতায় মেয়েটি প্রাণে বেঁচে যায়। এক সংবাদমাধ্যমকে সেখানকার একজন প্রতিবেশী জানিয়েছেন, সেই পরিবারের চিৎকার শোনার সাথে সাথে তাঁরা সেখানে পৌঁছে নেকড়েটিকে ধরতে গেলে নেকড়েটি দ্রুত সেই গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। এই প্রথম তাদের গ্রামে নেকড়ের হানা পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

   

আহত কিশোরীর দিদা এই ঘটনার সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, “সে আমার এবং তাঁর বাবার পাশে ঘুমোচ্ছিল। মাঝরাতে সে হঠাৎ চিৎকার করে উঠলে আমরা তাঁকে নেকড়ের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। আমাদের বাড়িতে দরজা নেই।” অন্যদিকে কিশোরীর মা জানিয়েছেন, “আমি ঘরের মধ্যে ঘুমোচ্ছিলাম এবং সে তাঁর দিদার সাথে বাইরে ঘুমোচ্ছিল। হঠাৎ নেকড়ে তাঁকে ধরে ফেলেছে বলে সে চিৎকার করে। আমরা সবাই চিৎকার করার পর প্রতিবেশীরা এলে ওই নেকড়েটি গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়।”

বাহরাইচের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিকা রানি বলেছেন, ১৭ জুলাই থেকে নেকড়েদের আক্রমণে আটজনের মতো মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু এবং প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন ইতিমধ্যেই চারটি নেকড়ে ধরেছে এবং অন্য নেকড়েদের ধরার জন্য সন্ধানও চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে, বাহরাইচ জেলার মাহসি এলাকায় একটি দুই বছর বয়সী মেয়ে নিহত হয়েছিল নেকড়ের আক্রমণে। বাহরাইচের পুলিশ সুপার (এসপি) বৃন্দা শুক্লা ও মনিকা রানি সেই দুই বছরের শিশুটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

গত দেড় মাসে নেকড়েদের একটি দল আটটি শিশু এবং একজন মহিলাকে হত্যা করার পরে বাহরাইচের অন্তত ৩৫টি গ্রামে উচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। নেকড়ে হামলার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একটি পরামর্শ জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, “যেকোন মূল্যে নেকড়ে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পূর্বে দেওয়া নির্দেশনা অনুসারে, প্রশাসন, পুলিশ, বন বিভাগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং রাজস্ব বিভাগকে এলাকায় ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করা উচিত।” সেইসঙ্গে তিনি আরো জনিয়েছেন, “জনগণকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কেও বলা উচিত। এতে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতাও নিতে হবে।” বর্তমনে ৫ বছরের কিশোরী আহত হওয়ার পর ‘হত্যাকারী’ নেকড়েদের সন্ধান অব্যাহত সেখানকার বন বিভাগ।