আরজি করে (RG Kar) চিকিৎসক চিকিত্সকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকের অফিসে ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি (BJP)। জেলাশাসকের দফতরের সামনে ঘেরাও করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল হবেন বিজেপি নেতারা। এদিন বেলা ১২ টা থেকেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে এই অভিযান। ইতিমধ্যে বর্ধমানে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধুন্ধুমার বাঁধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।
মহিলাদের নিয়ে কুমন্তব্যের জেরে রাতারাতি সাসপেন্ড তৃণমূল নেতা
ব্যারিকেড দিয়ে বিজেপি কর্মীদের আটকানোর চেষ্টা করলেই সংঘর্ষে জড়ায় দু-পক্ষ। এছাড়াও মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় জেলা শাসকের দফতর ঘেরাও করার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি সেই মতো রাস্তায় নেমে জেলার সদর প্রশাসনিক দফতর ঘেরাওয়ের কাজ করবেন বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে।
এদিন বর্ধমানের পাশাপাশি মালদাতে জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাঁধে দুপক্ষের। একই ছবি দেখা যায় আসানসোলেও। জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে এলেই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। সেইসময়ে পুলিশের ব্যারিকেডে উঠে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। কলকাতার আলিপুরে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পুরুলিয়াতেও একই ছবি ধরা পড়েছে। অন্যদিকে কোচবিহারেও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ নীশীত প্রামানিক। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে জলকামান ছেটায় পুলিশ। আগামীকাল বুধবার রাজ্যজুড়ে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লক অফিসে ধর্ণা কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। তারপর শুক্রবার থেকে প্রতিটি মণ্ডলে ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত ধর্ণা দেবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলটি। আরজি কর কাণ্ডকে রাজ্যের তৃণমূলস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বিজেপির এই কর্মসূচি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নাবালিকাকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র বালুরঘাট
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে সোমবার দিনভর মিছিল-ধর্নায় সামিল হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারেরা। এদিন লালবাজার অভিযানে পথে নামবেন তাঁরা। তাঁদের রুখতে তৎপর পুলিশ। দিকে দিকে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। গতকাল রবিবারও পথে নেমে মাঝরাত পর্যন্ত ধর্ণায় বসেছিলেন টলিউডের শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
পরপর শীর্ষ আমলাতান্ত্রিক পদে অধিষ্ঠিত স্বামী ও স্ত্রী
এমন অবস্থায় জেলায় জেলায় বিজেপির জেলা শাসকের দফতর ঘেরাও কর্মসূচি রাজ্যের সামগ্রীক আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বনধেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিজেপির সমর্থকেরা। ঘটনায় জখম ও গ্রেফতার হয় একাধিক নেতা-কর্মী।