গঙ্গার রিং বাঁধ ভেঙে প্লাবিত এক লক্ষ মানুষ, ত্রাণ নিয়ে তুঙ্গে রাজনীতি

গঙ্গার (Ganga river) বাঁধ ভেঙে মালদহের (Maldah) মানিকচকের ভুতনির বিস্তীর্ণ এলাকা এখন কার্যত জলের তলায়। সেখানে গত ২০ দিন ধরে জলবন্দি অবস্থায় রয়েছে প্রায় এক…

Maldah flood situation

গঙ্গার (Ganga river) বাঁধ ভেঙে মালদহের (Maldah) মানিকচকের ভুতনির বিস্তীর্ণ এলাকা এখন কার্যত জলের তলায়। সেখানে গত ২০ দিন ধরে জলবন্দি অবস্থায় রয়েছে প্রায় এক লক্ষ মানুষ। জানা গেছে, গঙ্গার রিং বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে সেখানে এই বিপত্তি ঘটেছে। এদিকে বাঁধ ভাঙার ফলে উত্তর চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বর্তমানে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ চণ্ডিপুর হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ এলাকা এখনও জলমগ্ন। গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়েছে ভুতনির তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা।

বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন, মঙ্গলে পাশ ধর্ষণবিরোধী বিল

   

ভূতনি থানা ও এলাকার বেশ কিছু স্কুল এমনকী স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও জল ঢুকে গিয়েছে। অনেকে নিজের প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের উপর। পরিস্থিতি সামাল দিতে মালদহ জেলা প্রশাসনের তরফে ১৫ টি ফ্লাড সেন্টার খোলা হয়েছে। সেখানেও বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এখনও বেশির ভাগ মানুষই রয়েছেন তাদের বাড়িতে। কিন্তু রিং বাঁধ ভেঙে কীভাবে তৈরী হল এমন পরিস্থিতি? জানা যাচ্ছে, দু’বছর আগেই ভেঙে গিয়েছিল মূল বাঁধ। এরপর আগস্ট মাসের ১১ তারিখ সেচ দফরের তৈরি অস্থায়ী রিং বাঁধটিও ভেঙে যায়।

নতুন মাসে শহরে কত রেটে বিক্রি হচ্ছে হীরে? জেনে নিন

তারপরেই সেই ভাঙা বাঁধ দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে এলাকায়। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে সেখানকার বানভাসি মানুষ। অন্যদিকে সেখানে ত্রাণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। প্রশাসন পর্যাপ্ত ত্রাণ দিলেও তৃণমূল দলবাজি করছে এই অভিযোগে সরব বিজেপি। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। কিন্তু বিজেপি ও তৃণমূলের দলবাজি নিয়ে এদিকে সরব সিপিএম।

বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মন্ডল এবিষয়ে তৃণমূলের দিকে নিশানা করে বলেছেন, “এটা ম্যানমেড বন্যা। প্রশাসন পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ দিচ্ছে। কিন্তু সেই ত্রাণ লুটপাট করে নিচ্ছে তৃণমূলের লোকেরা।” যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। মালদার জেলা শাসক নৌকা করে বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখে জানিয়েছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ এলাকায় পৌঁছাচ্ছে।

সেইসঙ্গে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র জানিয়েছেন, “পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে।

শরতের ঝলমলে আকাশ, দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে গরম

আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ত্রাণ বন্টনের ব্যবস্থা করেছি। কোথাও ত্রাণ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। জল কমলে বাঁধ মেরামতির কাজ করা হবে।” যদিও জেলা সিপিএম নেতা দেবজ্যোতি সিনহা বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলের দিকেই অভিযোগ তুলে বলেছেন, “ব্লক ও জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ পাঠাচ্ছে। কিন্তু ভূতনির তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি বিজেপির দখলে এবং একটি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। অধিকাংশ মেম্বার তাদের। ত্রাণ নিয়ে দলবাজি করছেন তারা। লুটপাট হয়ে যাচ্ছে ত্রাণ। প্রশাসনের এই বিষয়ে দ্রুত নজর দেওয়া উচিত।”