৬ ইঞ্জিন-২৯৬ কোচ, দৈর্ঘ্য সাড়ে প্রায় ৩ কিমি! জানেন ভারতীয় রেলের এই ট্রেনের নাম?

বৈচিত্রে ভারতীয় রেলের জুড়ি মেলা ভার। রয়েছে হরেক রকমের যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন। একএকটির বৈশিষ্ট অন্যকে টেক্কা দেওয়ার মত। জানেন ভারতীয় রেলের দীর্ঘ্যতম ট্রেন কোনটি?…

The longest train of Indian Railways is called Super Vasuki with 6 engines and 296 coaches,৬ ইঞ্জিন-২৯৬ কোচ, দৈর্ঘ্য সাড়ে প্রায় ৩ কিমি! জানেন ভারতীয় রেলের এই ট্রেনের নাম?

বৈচিত্রে ভারতীয় রেলের জুড়ি মেলা ভার। রয়েছে হরেক রকমের যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন। একএকটির বৈশিষ্ট অন্যকে টেক্কা দেওয়ার মত। জানেন ভারতীয় রেলের দীর্ঘ্যতম ট্রেন কোনটি? বেশিরভাগ ট্রেনেরই সর্বাধিক বগির সংখ্যা ১৮ বা ২০টি। একটি ইঞ্জিনেই চলে গোটা ট্রেন। কিন্তু, এ দেশের যে ট্রেনের কথা বলা হচ্ছে, সেটির কোচের সংখ্যা ২৯৬টি, ইঞ্জিন হল ৬টি! হ্যাঁ, ঠিকই দেখছেন। আর দৈর্ঘ্য কত জানেন? প্রায় সাড়ে ৩ কিমি! একটি স্টেশন পেরোতে ভারতীয় রেলের এই ট্রেনের সময় লাগে প্রায় পাঁচ মিনিট। তাই বলা হয়ে থাকে যে, ভারতের দীর্ঘতম এই ট্রেন দৈর্ঘ্যের নিরিখে হার মানাতে পারে একটি বড় সেতুকেও।

ভারতের দীর্ঘ্যতম ট্রেনের নাম কি?

   

দেশের দীর্ঘ্যতম ট্রেনের নাম হল সুপার বাসুকী। ট্রেনটির নাম খুব কম লোকেই হয় তো জানেন। স্বাধীনতা দিবসের ৭৫তম বার্ষিকীতে সুপার বাসুকী ট্রেনটি চালু হয়েছিল।

সুপার বাসুকী কোন প্রকৃতির ট্রেন?

নিশ্চয়ই ভাবছেন যে, এত বড় ট্রেনে প্রতিদিন কত যাত্রী যাতায়াত করেন। জেনে রাখুন যে, এই ট্রেন যাত্রীবাহী নয়, সম্পূর্ণ পণ্যবাহী একটি ট্রেন। এটি প্রতিদিন ২৭ হাজার টন কয়লা নিয়ে ছত্তিশগড়ের কোরবা ছেড়ে নাগপুরের রাজনন্দগাঁও পৌঁছায়। এই পথের দূরত্ব অতিক্রম করতে সুপার বাসুকীর সময় লাগে ১১ ঘন্টা ২০মিনিট।

ভারতীয় রেলের এই টিকিটের বৈধতা টানা ৫৬ দিন! একবার কাটলেই কেল্লাফতে

এই ট্রেনের দৈর্ঘ্য যেমন বেশি, তেমনই সুপার বাসুকীর ধারণ ক্ষমতাও অন্যান্য ট্রেনের চেয়ে তিনগুণ বেশি। সুপার বাসুকিকে একটি পণ্য ট্রেনের চেহারা দেওয়ার জন্য পাঁচটি পণ্য ট্রেনের রেক একসঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। সারা দিনে এই ট্রেনে যতটা কয়লা বহন করা হয়, তা ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির জন্য যথেষ্ট।

সামান্য লগ্নিতেই বিরাট আয়! যুগান্তকারী উদ্যোগ ভারতীয় রেলের, জানুন আবেদনের নিয়ম

ভারতের সাধারণ ট্রেনগুলি প্রতিটি স্টেশন পার হতে মিনিট দু’য়েক মত সময় নেয়, একই দূরত্ব অতিক্রম করতে সুপার বাসুকীর সময় লাগে প্রায় ৫ মিনিট।

স্টেশনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের কামরা খুঁজে পেতে হিমশিম অবস্থা? একেবারে সহজ সমাধান পূর্ব-রেলের

ভারতীয় রেলওয়ে এর আগে অ্যানাকোন্ডা এবং শেশনাগের মত ট্রেনও চালিয়েছিল। কিন্তু এই বিশ্বে এমন একটি ট্রেনও আছে, যা বাসুকী অএক্সপ্রেসের চেয়ে দ্বিগুণ লম্বা ছিল। ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান বিএইচপি আয়রন’ হল বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন। এই ট্রেনটি ২০০১ সালে শুরু হয়েছিল। এর দৈর্ঘ্য ছিল ৭.৩৫৩ কিলোমিটার।