ইউনূস সরকারের বন্ধু জামাত ইসলামির নিষেধাজ্ঞা বাতিল

বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা যুদ্ধে গণহত্যায় জড়িত ও পাকিস্তানের প্রতি সমর্থনকারী জামাত ইসলামিকে নিষিদ্ধ করেছিলেন শেখ হাসিনা। তবে রক্তাক্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত। ক্ষমতায় নোবেলজয়ী মুহাম্মদ…

বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা যুদ্ধে গণহত্যায় জড়িত ও পাকিস্তানের প্রতি সমর্থনকারী জামাত ইসলামিকে নিষিদ্ধ করেছিলেন শেখ হাসিনা। তবে রক্তাক্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত। ক্ষমতায় নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর নেতৃত্বে চলা অন্তর্বর্তী সরকারের বন্ধু হিসেবে চিহ্নিত জামাত ইসলামি। এই দলটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জামাত ইসলামি ও তাদের শাখা সংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির আইনি স্বীকৃতি পেল বলে জামান জামাতের আইনজীবী শিশির মনির। গত ১ আগস্ট নির্বাহী আদেশে জামাত ইসলামি ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ৫ আগস্ট সরকারের পতন হয়। এরপর জামাত ইসলামির নিষেধাজ্ঞা বাতিল ছিল সময়ের অপেক্ষা।

   

নিষেধাজ্ঞা কাটলেও এদিন দলটির নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) বাতিল হয়নি। জামাতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেছেন, নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হবে আগামী সপ্তাহে। আবেদন মঞ্জুর হলে জামাত ইসলামি ফের সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।

এক নজরে জামাত ইতিহাস

(১)পরাধীন ভারতে জন্ম হয়েছিল উগ্র ইসলামি দলটির। বিবিসি জানিয়েছে, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলমে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা রুখতে জামাতের প্রতিষ্ঠা হয়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএনএসের মত জামাত ইসলামি চরম কমিউনিস্ট বিরোধী রাজনৈতিক পথ নেয়।

(২)সাইদ আবুল আলা মওদুদীর নেতৃত্বে ১৯৪১ সালে জামাত প্রতিষ্ঠা হয়।

(৩)ভারত ভাগের পর সংযুক্ত পাকিস্তানে এই দলটি তিনবার নিষিদ্ধ হয়েছে। ১৯৫৯ ও ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হয়েছিল জামাত।

(৪)পাকিস্তান ভেঙে ১৯৭১ সালে তৈরি হয় বাংলাদেশ। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রতিষ্ঠার পর অন্য সব ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে জামাত নিষিদ্ধ হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশে ফের প্রকাশ্য রাজনীতির সুযোগ পায় জামাত ইসলামি।

(৫)জামাত সর্বশেষ নিষিদ্ধ হয়েছিল চলতি বছর ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। সেই নিষেধাজ্ঞার ২৭ দিনের মাথায় প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হল।