নবান্ন অভিযানের আড়ালে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা বিজেপির! বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ

কলকাতা: আজ মঙ্গলবার নবান্ন চলো (Nabanna Abhiyaan)-র ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফুঁসছে…

video-shows-trinamool-workers-in-nandigram-facing-voting-threats-tmc-leader-kunal-ghosh-shares-footage

কলকাতা: আজ মঙ্গলবার নবান্ন চলো (Nabanna Abhiyaan)-র ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফুঁসছে সমগ্র বাংলা। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। অন্যদিকে এই মিছিল রুখতে তৎপর প্রশাসন। জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে বহু রাস্তা বন্ধ অবধি করে দেওয়া হয়েছে। এসবের মাঝেই আজকের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বড় মন্তব্য করলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

সকাল থেকেই নবান্নের সামনে বিশাল পুলিশ ফোর্সকে মোতায়েন করা হয়েছে। অলিগলিতে চলছে পুলিশের নজরদারি। এরই মাঝে আজ মঙ্গলবার সকাল সকাল টুইট করে সরব হলেন কুণাল। তিনি লেখেন, ‘তথাকথিত ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন চলোকে ঘিরে সকাল থেকে উস্কানিমূলক পোস্ট করছেন বিজেপির নেতারা। এরা CBIর কাছে justice না চেয়ে কলকাতায় অশান্তি তৈরিতে মরিয়া। কেউ কোনো গুজব, প্ররোচনার ফাঁদে পা দেবেন না। বিজেপির অনেকে চেষ্টা করছে অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা ঘটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার।’

   

মঙ্গলবার সকাল থেকেই হাওড়ায় টহলদারি চালাচ্ছেন সিপি প্রবীণ ত্রিপাঠি। নবান্ন অভিযানে মিছিল রুখতে রীতিমতো নজিরবিহীন কড়াকড়ি করা হয়েছে শহরে। জোড়া রুট দিয়ে এদিন নবান্নের দিকে এগোবে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এদিকে মিছিলে ঝামেলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শহরের আর জি কর হাসপাতালে এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে এই পদযাত্রার লক্ষ্য। কলকাতা পুলিশ এই পদযাত্রাকে “অবৈধ” বলে অভিহিত করেছে এবং আশেপাশে পাঁচজনের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে।

সংগঠকদের কারও কারও ‘আরএসএস সংযোগের’ কারণ দেখিয়ে সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস এই প্রতিবাদে যোগ দিতে অস্বীকার করেছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, নবান্নের কাছে জারি করা বিধিনিষেধের কথা আয়োজকদের জানানো হয়েছে। ওই এলাকায় পাঁচজনের বেশি মানুষের জমায়েতও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে এক্স-এ একটি পোস্টে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে,”২৭ অগাস্ট, মঙ্গলবার, সেই দিন যখন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীর ইউজিসি-নেট পরীক্ষা সকাল ৯.৩০ থেকে দুপুর ১২.৩০ এবং আবার বিকেল ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়ার কথা। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি সংগঠন ওই দিনই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। আমরা রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি যাতে ইউজিসি-নেট পরীক্ষার্থীদের তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে অসুবিধা না হয়। জরুরি প্রয়োজনে প্রার্থীদের নিকটস্থ পুলিশ সদস্যদের সাহায্য চাইতে এবং নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ”