আরজি কর-কাণ্ডে নয়া মোড়, সন্দীপ ঘোষের আরও এক কুকীর্তির তথ্য CBI-র হাতে

আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (RG Kar Rape and Murder Case) ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তে নতুন পদক্ষেপ নিল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা…

RG-Kar-Case

আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (RG Kar Rape and Murder Case) ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তে নতুন পদক্ষেপ নিল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই। রবিবার সাত সকালে রাজ্যবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী পৌঁছায় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে। বেলা বাড়তেই সেখানে পৌঁছায় সিবিআইয়ের আরও আধিকারিক।

এখানেই শেষ নয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ, রবিবার মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। এমনকি সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও হানা দিচ্ছে সিবিআই। এবারে তাঁরা পৌঁছাল আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Rape and Murder Case) প্রাক্তন সহকারী সঞ্জয় বশিষ্ঠের বাড়িতে। আর্থিক অনিয়মের সন্দেহে এই সমস্ত জায়গায় ঢুঁ দিচ্ছে গোয়েন্দাদের দল।

   

এমনকি হাসপাতালে যারা রোগীদের ও চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ করত, তাদের অফিস ও বাড়িতে হানা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। যাই হোক, জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে ৬জন আধিকারিকের একটি দল আজ সকাল ৬টায় সন্দীপ ঘোষের বাড়ি পৌঁছায়। যদিও গেটে তালা বন্ধ থাকায় বাড়িতে ঢোকার জন্য প্রায় ৯০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। 

সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। আধিকারিকদের বাকি সদস্যরা ততক্ষণে সঞ্জয় বশিষ্ঠকে জেরা চালিয়ে যায়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপর দল হাওড়াতে এক সাপ্লায়ারের বাড়িতে হানা দেয়। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হাসপাতালের আর্থিক অনিয়ম সম্পর্কে তিনি কী জানতেন, তা নিয়ে বশিষ্ঠকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাই টাকা-গয়না, ভয়াবহ পরিণতি দোকানের মালিকের

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ওই আধিকারিক বলেন, “বশিষ্ঠকে প্রশ্ন করা হচ্ছে যে তিনি যখন এমএসভিপি ছিলেন, তখন হাসপাতালে যে আর্থিক অনিয়ম হয়েছিল সে সম্পর্কে তিনি কতটা জানতেন।” এদিকে সিবিআই অফিসারদের আরেকটি দল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের অফিসেও তল্লাশি চালায় এবং একাডেমিক ভবনের ক্যান্টিনে গিয়েছিল বলে জানা যায়।

প্রিন্সিপাল মানস কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সকালে হাসপাতালে পৌঁছতে বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তের সহায়তা করেন তিনি। সন্দীপ ঘোষের এক প্রাক্তন সহকর্মীর দাবি, তিনি মৃতদেহের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। এদিকে আর্থিক অনিয়মের মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।