লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের ফেরৎ ফর্ম! এবার প্রতি-আক্রমণে তৃণমূল, রাজ্যের কাছে বড় দাবি কুণালের

আরজি কর কাণ্ডের পর প্রশ্নের মুখে বাংলায় নারী সুরক্ষা। ইতিমধ্যেই মহিলাদের জন্য মমতা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নারকীয় ঘটনার পরই লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার, কণ্যাশ্রী…

Kunal Ghosh appeals to Mamata Govt to issue return form for those who want return of Lakhni Bhandar scheme in protest after RG Kar incident, লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের ফেরৎ ফর্ম! এবার প্রতি-আক্রমণে তৃণমূল, রাজ্যের কাছে বড় দাবি কুণালের

আরজি কর কাণ্ডের পর প্রশ্নের মুখে বাংলায় নারী সুরক্ষা। ইতিমধ্যেই মহিলাদের জন্য মমতা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নারকীয় ঘটনার পরই লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার, কণ্যাশ্রী প্রকল্পের যৌক্তিকতা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন আরজি করের নির্যাতিতার মা। নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা। তাঁর অনুরোধ ছিল, ‘যাঁরা কন্যাশ্রী বা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা নেন, তাঁরা তা নেওয়ার আগে তাঁদের ঘরের লক্ষ্মী সুরক্ষিত কি না, এক বার ভাববেন।’ যা নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। কার্যত দিশাহারা নবান্ন। এবার তাই লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়েই পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘যাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য স্কিমগুলিতে থাকতে চান না, তাঁদের জন্য ফেরত দেওয়ার একটি ফর্ম দিক রাজ্য সরকার। দুয়ারে সরকার শিবিরে ফেরত কাউন্টার থাকুক। ফেসবুকে বিকৃত বিপ্লবী না সেজে, ফেরত ফর্ম ফিল আপ করুন।’

   

এখানেই শেষ না করে আরজি কর কাণ্ডে তৃণমূলের অবস্থান ফের স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন কুণাল। লিখেছেন, ‘আমরাও RGKor দোষী/দের ফাঁসি চাই। কুরাজনীতি নয়।’

রাজ্যের সিট বাতিল! আর জি কর দুর্নীতির গোটা তদন্ত সিবিআইয়ের: হাইকোর্ট

চলতি মাসের ৯ তারিখ আরজি করের চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে চলছে প্রতিবাদ আন্দোলন। রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে সেই প্রতিবাদ এখন ভারতের সর্বত্র, বিদেশেও। ঘটনার বিচার এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ, হাসপাতালে নিরাপত্তা দিতে রাজ্য প্রশাসন ব্যর্থ। তারপরও, নক্কারজনক ওই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার কাউকে আড়ালের চেষ্টা করছে। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ফের তাঁর পুনর্নিয়োগ, সেমিনার হলের পাশের ঘর ভেঙে ফেলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, ১৪ অগস্চ রাতে হাসপাতালে ভাঙচুর- সেই তত্ত্ব আরও জোরালো করছে বলে মনে করা হচ্ছে। আদালতের লড়াইতেও প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের একাধিক ভূমিকা। বাড়ছে প্রতিবাদ। ফুঁসছে বিরোধী শিবির। এবার আর চুপ না থেকে প্রতি-আক্রমণের পথেই মমতার তৃণমূল।