রাজনীতির উর্দ্ধে গিয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষে কল্যাণের পুত্র-কন্যা

কোথাও চিকিৎসক তো কোথাও আইনজীবী, আরজি কর (RG Kar Death Case)-এর ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছেন সকলে। আজ দুপুর থেকেই আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও…

কোথাও চিকিৎসক তো কোথাও আইনজীবী, আরজি কর (RG Kar Death Case)-এর ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছেন সকলে। আজ দুপুর থেকেই আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সরব হয়েছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে আইনজীবীরা। তবে এবার এই ঘটনায় সরব হলেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে ও মেয়ে।

রাজনীতির উর্ধ্বে গিয়ে দুজনেই আন্দোলনকারীদের পক্ষে কথা বললেন দুজনে। ‘এ রাজ্যে নিরাপদ নই।’ এবার এমনই দাবি করে শোরগোল ফেলে দিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছেলে ও মেয়ে। প্রমিতী বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ‘তদন্ত নিয়ে তো আমি কিছু বলতে পারবো না। কিন্তু আমরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। যা হয়েছে তা ভুল। মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। তৎপরতাটা কোথায় দেখানো উচিৎ, তা পুলিশকে বুঝতে হবে। এ রাজ্যে নিরাপদ নই।’

   

অন্যদিকে নির্যাতিতার পরিচয় ও ছবি প্রকাশের অভিযোগে বিশিষ্ট চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী, কুণাল সরকারকে তলব করেছে লালবাজার। এদিকে মিথ্যে অভিযোগে হেনস্থার চেষ্টার অভিযোগ আনলেন সুবর্ণ গোস্বামী। আজ সোমবার কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে ২ চিকিৎসককে নিয়ে মিছিল করে লালবাজার যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের দাবি, ‘ভয় দেখালে মিছিলের দৈর্ঘ আরও বাড়বে। কত মানুষকে তলব করবে?’ আজ রীতিমতো পুলিশের উদ্দেশ্যে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন চিকিৎসকরা। ‘অপদার্থ নগরপাল,’ বিনীত গোয়েলের উদ্দেশ্যে এমনই মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকরা।

গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এরপর ১৪ আগস্ট গভীর রাতে এই হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় কয়েজন দুষ্কৃতী। যার পরে চিকিৎসকরা বিক্ষোভ আরও তীব্র করেন।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল আনন্দ বসু দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সাথে ধর্ষণ-হত্যা মামলা এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন পদ্মজয়ী ৭১ জন চিকিৎসক। তাঁরা বলেন, অবিলম্বে অর্ডিন্যান্স এনে চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে চতুর্থ দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের বক্তব্যে নাকি মোটেও একমত নয় সিবিআই।