‘বিচার চাই আরজি করের…’, সংহতির ডার্বিতে ‘প্রতিবাদ’ বাগান সমর্থকের

গত কয়েকদিন ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্য ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের দানা ক্রমশ ঘণীভূত হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের…

Kolkata Derby 2024

গত কয়েকদিন ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্য ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের দানা ক্রমশ ঘণীভূত হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের আদেশানুসারে সিবিআই ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি যে আরও জটিল হচ্ছে, তা বলা যেতেই পারে। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন কলকাতা ডার্বির উপরেও এই প্রতিবাদের প্রভাব পড়তে পারে। সম্প্রতি এক মোহনবাগান সমর্থকের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। তাঁর দাবি, আসন্ন ডার্বি হোক সংহতির। অর্থাৎ মাঠে ঘটি-বাঙালের যতই লড়াই থাকুক না কেন, এমন একটি ঘটনার প্রতিবাদে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল নির্বিশেষে প্রতিবাদ করা উচিত।

   

এখনই হয়তো মাঠে ফিরছেন না এই বাগান তারকা

সুরঞ্জন মুখোপাধ্যায় নামে ওই মোহনবাগান সমর্থক বললেন, ‘আমরা বছরের ৩৬৫ দিন মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের দ্বৈরথ নিয়ে কাটাই। কিন্তু আজকের এই ভিডিওটা আমাদের আজকের রক্তাক্ত শহর নিয়ে। এই শহরের মধ্যে দিয়েই পরিচিতি লাভ করেছে আমার মোহনবাগান, আপনার ইস্টবেঙ্গল। আমরা সবসময় একটাই কথা বলি যে মাঠে ৯০ মিনিট লড়াই থাকলেও, বাইরে থাকুক ভাতৃত্ব। কিন্তু, আজকের এই ভিডিওয় আবেদন জানাতে চাই যে মাঠের ৯০ মিনিটেও থাকুক ভাতৃত্ব।’

 

সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আগামী ১৮ অগস্ট মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল নির্বিশেষে মাঠে আসুন। আমরা যেমন মোহনবাগান ক্লাবকে মা বলে সম্বোধন করি, সমস্ত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা যেমন তাঁদের ক্লাবকে মা বলে সম্বোধন করেন; ঠিক তেমনই এই শহরটাও আমাদের মায়ের সমান। এই শহর আজ রক্তাক্ত। তার সম্মানহানি হয়েছে। কোনও এক মায়ের কোল খালি হয়েছে, সেই মা সন্তানহারা হয়েছেন। তাই আমার অনুরোধ, ডার্বির দিন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা নির্বিশেষে একসঙ্গে স্টেডিয়ামে অন্য কোনও টিফো না রেখে, আরজি করের বিচার চেয়ে আমরা টিফো নামাই। এই ডার্বিটা হোক ভাতৃত্বের ডার্বি। এই ডার্বিটা বন্ধুত্বের ডার্বি।’

ডার্বিতে খেলবেন হিজাজি? জানুন সম্ভাবনা কতটা

আগামী ১৮ অগস্ট কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কলকাতা ডার্বির আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই হাইভোল্টেজ ম্য়াচের জন্য টিকিটের কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছে। গত মরশুমের ডুরান্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েই খেতাব জয় করেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এবারও কি সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে? না, প্রতিশোধের ম্যাচে জয়লাভ করবে লাল-হলুদ ব্রিগেড? ফলাফলের জন্য আপাতত কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।