আরজি কর (RG kar medical college) কাণ্ড নিয়ে সরব রাজ্য থেকে দেশ। ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমেছন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ময়দানে নেমেই তাঁরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। টানা বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা।
স্বাধীনতা দিবসে ‘বিশেষ ভিডিও’ রোহিতের, কী বার্তা দিলেন ভারত অধিনায়ক?
নিহত ছাত্রীর বাবা-মা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এত লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী, এমনকী বিদেশেও মানুষ যেভাবে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন, তাঁদেরকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা। সবাইকে আমার নিজের ছেলেমেয়ের মতো মনে করছি। ভরসাও পাচ্ছি এভাবে পাশে থাকার জন্য।’ প্রসঙ্গত রাজ্য সরকার নির্যাতিতার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সংবাদমাধ্যমকে বলেন,’আগে মেয়ের বিচার চাই। মেয়ের জীবনের বিনিময়ে টাকা নিলে মেয়েটা খুবই দু:খ পাবে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি, বিচার পেলে তখন নিশ্চয়ই নবান্নে গিয়ে টাকা নিয়ে আসব।’
বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ আমেরিকা, আলোচনা ভারতের সঙ্গে
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ করেন নির্যাতিতার মা-বাবা। দোষীদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। উল্লেখ্য বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালানো হয়। আন্দোলনের জমায়েত থেকেই কয়েক জন চিকিৎসকদের আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। হামলা চালানো হয় পুলিশের উপরেও।
অভিযোগ, অনেক ওষুধপত্র নষ্ট করা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে সিসি ক্যামেরা, চেয়ার, টেবিল এবং দরজা। জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামও ভাঙা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পড়ুয়ারা। তবে ওই ভবনের চার তলার সেমিনার হলে, যেখানে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কেউ পৌঁছতে পারেনি বলে দাবি পুলিশের। তারা জানিয়েছে, ওই ঘর অক্ষতই রয়েছে।