ফের একবার হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। আরজি কর হত্যার তদন্তের ভার কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে সিবিআইয়ের কাছে স্থানান্তরিত করল কলকাতা হাইকোর্ট। কোর্টের এই নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । পাশাপাশি তিনি এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এটা সংঘটিত গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা আর রাজ্য সরকার চাইছে সত্যিটা ধামাচাপা দিতে। মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দু বলছেন, ‘আমরা চাই উনি স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে পতাকা তুলুন আর বিকেলেই ইস্তফা দিন।’
নির্বাসিত সোনাজয়ী অ্যাথলিট, বড় ধাক্কা ভারতের
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল অন রেকর্ড এটাকে সুইসাইড কেস বলে তদন্তের আগেই ইতি টেনে দিয়েছিল। এটা তো ভয়ঙ্কর অপরাধ। পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই কাজ করেছেন তিনি।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেছেন, ‘ অবিলম্বে বিনীত গোয়েল, ডাঃ এসপি দাস এবং ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে আটক করুন। আর অবিলম্বে এবার নবান্ন চলুন। সবাই রাস্তায় নামুন। নবান্ন থেকে তাড়াতেই হবে।’
‘ভিলেন’ ডাক্তার? ভিনেশ বিতর্কে এবার চাঞ্চল্যকর মোড়
আরজি করের ইস্যুতে বাংলার মানুষকে রাজনৈতিক পতাকা ছেড়ে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির তরফ থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্নাতেও বসা হবে। একই সঙ্গে, আমজনতাকে তাঁর বার্তা সকলে একত্রে নবান্ন অভিযান করতে হবে, আসল দোষী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎখাত করতে! বিজেপি বিধায়ক বলছেন, ‘পতাকা গুলি মারুন, একটাই দাবিতে নবান্ন চলুন। কেউ না থাকলে আমি আছি, আমি যাব।’
পাশাপাশি তিনি আরও জানান যে, সিবিআই অনেক ক্ষেত্রেই প্রত্যাশা মতোই তদন্ত করতে পারেনি। তাঁর কথায়, ‘সিবিআই যেহেতু একটি সাংবিধানিক বডি, আমি এই তদন্তের আসল মাথা পর্যন্ত যেতে চাই, শুধুমাত্র গণধর্ষণ যাঁরা করেছেন, তাঁরা নয়, গণধর্ষণ-খন যাঁরা করেছেন, তাঁদের যাঁরা রক্ষক, তাঁদেরকেও যাতে শাস্তি দেওয়া হয়, সেই বিষয়টা আমার পিটিশনে ছিল।’