অ্যাকাডেমিক কৃতিত্ব প্রকাশ করতেই ভাইরাল প্রাক্তন আইআইটি পড়ুয়ার টিন্ডার প্রোফাইল!

টিন্ডারের (Tinder) মতো অনলাইন ডেটিং জগতে পরিচিতি পাওয়া খুবই বিভ্রান্তিকর এবং জটিল । নিজেদের পরিচিতি তৈরী করার জন্য নেটিজেনরা নানান সৃজনশীল এবং চিত্তাকর্ষক পদ্ধতি দিয়ে…

টিন্ডারের (Tinder) মতো অনলাইন ডেটিং জগতে পরিচিতি পাওয়া খুবই বিভ্রান্তিকর এবং জটিল । নিজেদের পরিচিতি তৈরী করার জন্য নেটিজেনরা নানান সৃজনশীল এবং চিত্তাকর্ষক পদ্ধতি দিয়ে নিজেদের সোশাল মিডিয়া বায়ও তৈরী করে থাকেন নেটিজেনরা। অনলাইন ডেটিং জগতে পরিচিতি পাওয়ার জন্য অবাক কান্ড ঘটালেন এক প্রাক্তন আইআইটি পড়ুয়া।

নিজের টিন্ডার প্রোফাইলে তাঁর ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যগুলি দেখানোর পরিবর্তে তাঁর একাডেমিক কৃতিত্বগুলি তুলে ধরলেন তিনি। এরপরেই ভাইরাল হয় তাঁর প্রোফাইল। তাঁর ফিলের স্ক্রিনশট এক্স প্লাটফর্মে শেয়ার করে একজন লেখেন, “এই আইআইটি পড়ুয়াদের ডেটিং সাইট ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করা উচিত। এটি লিঙ্কডইন নয়, এটা টিন্ডার, মনে নেই আপনার?”

   

স্ক্রিনশটটি দেখিয়েছে যে টিন্ডার ব্যবহারকারী তাঁর বিভিন্ন একাডেমিক শংসাপত্রের তালিকা তুলে ধরতে প্রোফাইলটি ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে তাঁর হাই স্কুলের শতাংশ, জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন্ এবং অ্যাডভান্সড এ তাঁর র‍্যাঙ্ক , এন্টিএসি এবং কেবিপিওয়াই স্কলারশিপ এবং আইআইটি বম্বে থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিটেক সহ নানান একাডেমিক তথ্য দিয়েছেন । প্রোফাইলে ইনফোসিসে তাঁর বর্তমান চাকরি এবং তাঁর শরীরের উচ্চতা।

পোস্টটি কয়েকদিন আগে শেয়ার করা হয়েছিল। তারপর থেকে, এটি ৪০০,০০০ এর বেশি ভিউ এবং ৮,০০০ লাইক পড়েছে। মন্তব্য করে সমালোচনা করেছে অনেকেই। একটি ডেটিং সাইটে কেন একজন নিজের সম্পর্কে না লাইক তাঁর ডিগ্রি সম্পর্কে তথ্য দেবেন বুজতে পারছে না অনেকেই। পোস্টটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একজন নেটিজেন লিখেছেন, “কল্পনা করুন আপনি ২৪ বছর বয়সী এবং কেউ একটি ডেটিং সাইটে আপনার সম্পর্কে জানার থেকে আপনার একাডেমিক ফলাফলের বেশি আগ্রহী! এটা কখনো হয়?” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, “যদি মর্যাদাপূর্ণ ইনস্টিটিউটের এই সমস্ত চিত্তাকর্ষক ইতিহাস আপনাকে মুগ্ধ না করে, এই রইল আমার শারীরিক উচ্চতা। “

তিনি প্রোফাইলে কেন তাঁর একাডেমিক কৃতিত্ব নিয়ে লিখেছেন তাঁর কারণ হিসেবে একজন লিখেছেন, “তিনি শুধুমাত্র তার পুরো জীবন ধরে পড়াশোনা করেছেন তাই তিনি নিজের সম্পর্কে নীচে আর কী লিখতে পারতেন?” চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন “আপনি একটি ডেটিং অ্যাপে বায়ো হিসাবে একাডেমিক কৃতিত্ব লিখতে গেলেন কেন? আইআইটিবি, সিএসই এবং ইনফোসিস একসঙ্গে লিখতে পারলেন না?”

সর্বশেষে একজন মন্তব্যকারী লেখেন, “তিনি মোটেও আইআইটি বা বিসিএসই থেকে নন। তিনি ইনফোসিসে কাজ করেন বলেও মনে হয় না। এটা কোনও ব্যক্তির দ্বারা একটি সস্তা ইয়ার্কি যে মনে করে যে সে আইআইটি ‘ট্যাগ’ লাগিয়ে বিউল জনপ্রিয়তা পেতে পারে। “