ড. ইউনূসের শপথে নেই ভারত! বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার থেকে দূরত্ব?

আমন্ত্রণ এলেও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ গ্রহণ (Muhammad Yunus) অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা। কূটনৈতিক মহল তীব্র আলোড়িত। প্রশ্ন উঠে…

আমন্ত্রণ এলেও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ গ্রহণ (Muhammad Yunus) অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা। কূটনৈতিক মহল তীব্র আলোড়িত। প্রশ্ন উঠে গেল ভারত কি বাংলাদেশ থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে?

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণবিভোক্ষে পতন হয়ে গেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলা আওয়ামী লীগ জোট সরকারের। পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনা। আর ছাত্র-গণ বিক্ষোভের পর বাংলাদেশে বকলমে ক্ষমতা দখল করেছে বিএনপি ও জামাত ইসলামি। তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের প্রধান নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। তাঁকে বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন শপথ গ্রহণ করাবেন।

   

বঙ্গভবন অর্থাত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বাসভবনে এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভারতসহ অনান্য দেশগুলির রাষ্ট্রদূতদের অমন্ত্রণ জানানো হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে প্রায় সব দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত থাকলেও থাকছেন না বাংলাদেশ নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা। কারণ বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন এবং কনস্যুলেট থেকে নিজেদের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত।

দেশে পা রেখেই হিংসা বন্ধের বার্তা ইউনূসের

শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করতেই ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে অপ্রয়োজনীয় স্টাফ এবং পরিবারদের সদস্যরা বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যান। তবে সব কূটনীতিক হাইকমিশনে আছেন। এছাড়া হাইকমিশন চালু আছে। তবে যাবেন না রাষ্ট্রদূত। বন্ধ করা হয়েছে ভারতীয় ভিসা সেন্টার।

ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে বুধবার পাকিস্তান সরকার দিয়েছে বাংলাদেশিদের সঙ্গে একাত্ম হবার বার্তা। শেখ হাসিনার জমানায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নামমাত্র কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। এবার ইসলামাবাদ ও ঢাকার কূটনৈতিক সম্পর্ক দৌড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

Bangladesh: প্রতিবেশী বাংলাদেশে অশান্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতীয় সেনার সিডিএসের

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ড. ইউনূস ফ্রান্স থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে সাক্ষাতকার দেন। তিনি বলেন, “আপনি যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করেন, তা মিয়ানমারসহ বাংলাদেশের চারপাশে ছড়িয়ে পড়বে এবং পশ্চিমবঙ্গ, সেভেন সিস্টার্সে ছড়িয়ে পড়বে। এটি আমাদের চারপাশে এবং মিয়ানমারের সর্বত্র আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো হবে। বড় সমস্যা হবে, কারণ এখানে লাখ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে।” ইউনূসের এই বক্তব্যে মনে করা হচ্ছে, তিনি বাংলাদেশের আগামী কূটনৈতিক দিশার পরিবর্তন করে দিলেন।