গোপন আস্তানায় ডোভালের সঙ্গে কথা বলার সময় কেন কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসিনা?

নিজের প্রাণের আশঙ্কা রয়েছে, এমনটা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন শেখ হাসিনা। তাই প্রয়োজনে ভারতে আশ্রয় নিতে চান তিনি। গত ৩১ জুলাই ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এমনটাই নাকি…

Shiekh Hasina crying infornt of Ajit Doval at safe house in Delhi.

নিজের প্রাণের আশঙ্কা রয়েছে, এমনটা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন শেখ হাসিনা। তাই প্রয়োজনে ভারতে আশ্রয় নিতে চান তিনি। গত ৩১ জুলাই ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এমনটাই নাকি বলেছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সংসদে এমনটাই জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। অর্থ্যাত্ গোটা বিষয়টিই পূর্ব নির্ধারিত ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।

আশ্রিতা হাসিনা, বাংলাদেশ থেকে দূতাবাস কর্মীদের সরাচ্ছে ভারত

   

সোমবার বাংলাদেশ থেকে গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসে বোন রেহানাকে নিয়ে অবতরন করেন হাসিনা। তারপর থেকেই সেখানেই একটি সেফ হাউজে রাখা হয় তাঁকে। কিন্তু ততক্ষণে মানসিকভাবে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন মুজিবকন্যা।

কান্নায় নাকি এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে ঠিকমতো কথাই বলতে পারেননি তিনি! তিনি মানসিকভাবে এতটা ভেঙে পড়েছিলেন যে হাসিনা কোন দেশে আশ্রয় নিতে পারবেন, সেই প্রশ্নটিও করতে পারেননি ডোভাল। নিজের মেয়ের সঙ্গেও দেখা করতে চান তিনি। তাঁর সেই আবেদনও তত্ক্ষনাত্ মেনে নেন ডোভাল। হাসিনার মানসিক বিপর্যয়ের কারণে তাঁকে কিছুটা সময় দিতে চেয়েছে ভারত সরকার। মানসিকভাবে একটু স্থির হলেই তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

হাসিনাকে ফেরাতে জোর আওয়াজ উঠেছে ওপার বাংলায়

কিন্তু ভারতে আসার পর ৪৮ ঘন্টার ওপর কেটে গিয়েছে। হাসিনার পরবর্তী গন্থব্য কোথায় হবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। ব্রিটেনকে আবেদন এখনও পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক সঙ্কেত পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, হাসিনাকে ‘পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম’ দেবে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে আমেরিকা।

এমন অবস্থায় তিনি কোথায় যাবেন তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশই বাড়ছে। সঙ্গে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লিরও। তার কারণ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন সংগঠন। মঙ্গলবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলরের পক্ষ থেকেও দাবি তোলা হয়েছে, হাসিনাকে ফিরিয়ে দিক ভারত।

“কতো কিছু আমাকে ছেড়ে চলে যায়, শুধু রয়ে গেল…” কী লিখলেন পরীমণি?

কারণ গণহত্যার অপরাধে তাঁকে বিচারের আওতায় আনতে চেয়েছে সরব হয়েছে সংগঠনগুলি। এমন অবস্থায় হাসিনাকে এখন কী করবে তা নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগছে ভারত। কারণ বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার এলে স্বাভাবিকভাবেই শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে। এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। কিন্তু হাসিনাকে আশ্রয় দিলে এই সংঘর্ষে কোনও একটি পক্ষ নিয়ে ফেলবে নয়াদিল্লি। যারফলে আগামীদিনে সমস্যায় পড়তে হতে পারে নয়াদিল্লিকে।