বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সর্বদা নজর রাখছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। শুধু তাই নয় মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর (jaishankar bangladesh) জানিয়েছেন যে, ‘ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হয়েছেন।’ শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের ভারতীয় দূতবাসেও সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সোমবার রাতে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এরপরই দফায় দফায় বৈঠক শুরু হয় নয়া দিল্লিতে। মঙ্গলবার সকালেও সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান কী, কী ভাবছে ভারত, সেই বিষয়েই সংসদে বিবৃতি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বাংলাদেশের তাণ্ডবের নেপথ্যে কী পাকিস্তান? প্রশ্ন রাহুলের, কী জবাব জয়শঙ্করের?
বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। সব সরকারের আমলেই সেই সম্পর্ক অটুট থেকেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪-এ বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয়, সেই সময় থেকেই একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেড়েছে মেরুকরণ।’জয়শঙ্কর উল্লেখ করেন, গত জুন মাসে শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন। ক্রমশ হিংসাত্মক ঘটনা বাড়তে থাকে। সরকারি সম্পত্তিতে হামলা চলে, বাস ও রেল পরিষেবার ক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। জুলাই জুড়েও চলে সেই সংঘর্ষ।
অবশেষে ‘স্বাধীনতা’র স্বাদ পেলেন জিয়া
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বারবার চেয়েছি কথাবার্তার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসুক।’ বাংলাদেশে হিংসা এবং লুটপাটের একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন কূটনৈতিক স্তরে নয়াদিল্লি ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস এবং সে দেশে অবস্থিত চারটি উপদূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। বাংলাদেশ সীমান্তে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গেও।
বিরোধীদের জোট INDIA-তে ভাঙন! মহারাষ্ট্রে একাই লড়বে আপ
এখানেই শেষ নয়, খুব অল্প সময়ের নোটিসে ভারতে আসার আর্জি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত সেই অনুমতি দেওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টায় গাজ়িয়াবাদের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হাসিনা এবং তাঁর বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে অবতরণ করে একটি বিমান। তবে হাসিনা কিংবা বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, তা খোলসা করেননি জয়শঙ্কর।