জ্বলছে বাংলাদেশ। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। প্রায় এক মাস আগে দেশের কোটা নীতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলেও তা ক্রমে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। য়ার নেতৃত্বে ছিলেন, ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম। সোমবার দেশব্যাপী কার্ফু অমান্য করে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হানা দেয় হাজার হাজার বাংলাদেশি। মূলত নাহিদের নেতৃত্বেই সেই অভিযান চলে বলে মনে করা হচ্ছে। কে এই ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম?
একনজরে ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম?
১. নাহিদ ইসলাম বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তিনি মানবাধিকার কর্মী হিসেবে পরিচিত।
২. নাহিদ কোটানীতি সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের একজন ‘জাতীয় সমন্বয়কারী’ হিসাবে কাজ করেন। ২০২৪ সালের জুনে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট মুক্তিযোদ্ধাদের বংশধরদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল করার পরে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। আন্দোলনকারীদের যুক্তি ছিল, কোটা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য একটি বৈষম্যমূলক এবং রাজনৈতিকভাবে কারচুপি করা ব্যবস্থা মাত্র।
বাংলাদেশের তাণ্ডবের নেপথ্যে কী পাকিস্তান? প্রশ্ন রাহুলের, কী জবাব জয়শঙ্করের?
৩. কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখ নাহিদ শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। পাল্টা তৎকালীন শাসক দল আন্দোলনকারীদের “রাজাকার” বলে দেগে দিয়েছিলেন। এর আগে, শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের সম্বোধন করে, নাহিদ ঘোষণা করেছিলেন যে ছাত্ররা “আজ লাঠি তুলেছে” এবং লাঠিতে কাজ না হলে “অস্ত্র তুলতেও” প্রস্তুত।
বাংলাদেশের হিন্দুদের প্রাণসুরক্ষা, বড় দাবি বাংলার বিজেপি সাংসদের
৪. ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলামকে সবুজবাগের একটি বাসা থেকে সাদা পোশাকে অন্তত ২৫ জন লোক অপহরণ করে। অভিযোগ, প্রতিবাদ আন্দোলনে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরানো এবং নির্যাতন করা হয়েছিল। দু’দিন পর পূর্বাচলের একটি সেতুর নীচ থেকে তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর শরীরে মারধরের চিহ্ন ছিল বলে দাবি করা হয়।
অবশেষে ‘স্বাধীনতা’র স্বাদ পেলেন জিয়া
৫. ধানমান্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে ২৬ জুলাই নাহিদ ইসলামকে দ্বিতীয়বার অপহরণ করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা এই ছাত্রনেতাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ এই কাজের দায় অস্বীকার করে।
খুলনায় খুল্লামখুল্লা ‘সন্ত্রাস’! আগুন মন্দিরে-ভাঙা হল বিগ্রহ, আতঙ্কে দিশেহারা সংখ্যালঘু হিন্দুরা
হাসিনার ইস্তফা ও দেশ থেরে পালানোর পর সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন নাহিদ ইসলাম। জানিয়েছিলেন কেমন সরকারকে সমর্থন করবেন ছাত্ররা। বলেছিলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করব। সেখানে অভ্যুত্থানকারীদের অংশ থাকবে এবং সমাজের নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এছাড়া অন্য কোনও সরকার, যেমন- সেনা সমর্থিত সরকার বা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারকে সমর্থন করবে না ছাত্ররা।’