ডায়বেটিস (Diabetes) এর বাংলা অর্থ ‘মধুমেহ’। যদিও চলতি বাংলায় ডায়াবেটিক পেশেন্টকে (Diabetes) আমরা সুগারের পেশেন্ট বলতেই অভ্যস্ত।
মধু সম্পর্কে আমাদের সবার মনে কমবেশি এই ধারণা আছে যে মধুর সবটাই ভালো। এমনকী অনেকে বলে থাকেন যে, ডায়াবেটিক পেশেন্টরাও (Diabetes) নাকি মধু খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। কিন্তু জানেন কী মধু-র সব কিছুই ‘মধুর’ নয়? মধুর ভালো এবং খারাপ দুই দিকই আছে সমপরিমানেই।
বিভিন্ন ফুলের পরাগ থেকে আহরিত মধু শ্রমিক মৌমাছির দেহের লালা এবং এক বিশেষ ধরনের এনজাইম এর সংস্পর্শে এসে রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে মধুর সৃষ্টি হয়। যদিও এখন বাজারজাত বিভিন্ন বিখ্যাত মধুর ব্রান্ডের বিশুদ্ধতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সাম্প্রতিককালে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে।
ধর্ষক নেতার বেকারিতে বুলডোজার চালিয়ে অযোধ্যায় ‘সুপারহিরো’ যোগী!
চিনি বা গুড় সৃষ্টির বহু আগে থেকে, বৈদিক যুগে বিভিন্ন রোগ নিরাময় এবং স্বাদ বধর্ক হিসেবে মধুর ব্যাপক ব্যবহার ছিল। শুধু ভারত বর্ষ নয় প্রাচীন মিশরেও মধুর বহুল ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। জানলে হয়ত অবাক হবেন, এক সময় রোমান সাম্রাজ্যে মধুকেও সোনার সমান দামি বলে মনে করা হতো। বর্তমানে স্পেনের ‘ ফর এভার বি’ হানিকে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সব থেকে দামি বলে মনে করা হয়।
মধুর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টির জন্য আদিকাল থেকেই অসুখ প্রতিরোধ এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধির জন্য মধুর বহুল ব্যবহার রয়েছে।
পলিফেনলিক কম্পাউন্ডসের উপস্থিতির জন্য মধু মানসিক স্ট্রেস কমাতে পারে, প্রিম্যাচিওর এজিং এবং ক্যান্সারের মতো সমস্যা প্রতিরোধে অনেকটা সাহায্য করে। সর্দি কাশি বা ফুসফুসের সংক্রমণ বা গলায় ঘায়ের সমস্যা প্রতিরোধে, মধু অত্যন্ত উপকারী।
অ্যাসিডিটি বদহজম অরুচি বা কনস্টিপেশন এর সমস্যায় ভোগা রুগীরা চিনি বা গুড়ের বদলে মধুকে ব্যবহার করতে পারেন। মধু প্রিবায়োটিক অর্থাৎ অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে, আমাদের হজমের সমস্যা সমাধান করে!
এবার আসা যাক আসল বিষয়, মধুমেহ এবং মধু। ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে, মধু ব্যবহারের কোন সুখবর নেই, চিনি বা গুড়ের থেকে ক্যালোরির পরিমাণ সামান্য কম হলেও, মধু যথেষ্ট উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন। ফলে মধু খেয়ে, ডায়াবেটিস কমানো কিংবা ওজন কমানোর ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে যারা মধু খাচ্ছেন, তারা কিন্তু এখনই সাবধান হয়ে যান! সুস্থ লাইফস্টাইল এবং নিয়মিত শরীরচর্চা ছাড়া ওজন বা ডায়াবেটিস, কোনটাই কমার কোন সম্ভাবনা নেই।
ওয়েনাডে ভূমিধস বিপর্যয়ের কারণ গো-হত্যা! সাফ দাবি বিজেপি-র জ্ঞানদেবের
এছাড়া মনে রাখবেন এক বছরের কম বয়সী শিশুকে, কোনভাবেই মধু খাওয়ানো চলবে না, এতে শিশুর প্যারালাইসিস শ্বাসকষ্ট এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যদি তার ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়। এছাড়াও যাদের ফুলের পরাগ রেণু থেকে এলার্জির ধাত আছে, তারাও মধু থেকে দূরে থাকলেই ভালো।
উপরে উল্লেখিত সমস্ত তথ্য, ডাক্তার এবং নিউট্রিশনিস্ট এর বক্তব্যের ভিত্তিতে অনুলিখিত। মতামত কোনভাবেই ব্যক্তিগত নয়।