বিজেপিকে শূন্য করতে নতুন কৌশল তৃণমূল কংগ্রেসের

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন জয়ের টার্গেট নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু ৭৭-এই থমকে গিয়েছিল বিজেপি। তার পর বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। বিজেপির বেশ কয়েকজন…

New Controversy Erupts Within TMC Over Calendar Issue

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন জয়ের টার্গেট নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু ৭৭-এই থমকে গিয়েছিল বিজেপি। তার পর বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক ফুলবদল (TMC) করেছেন। আবার অনেক আসনে উপনির্বাচনে জয় পেয়েছে তৃণমূল (TMC)। একুশের পর চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও বাংলায় বিরাট ধাক্কা খেয়েছে পদ্ম শিবির।

২৯টি আসনে জিতে রীতিমতো ‘কামব্যাক’ করেছে মমতার তৃণমূল। আর এবার ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে শূন্যে নামিয়ে আনতে চায় রাজ্যের শাসকদল। আর তাই বিরাট কৌশল নিতে চলেছে তারা। সূত্রের খবর, তৃণমূলে ফিরতে চলেছে জেলা পর্যবেক্ষকের পর। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ এই পদ আনুষ্ঠানিকভাবে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই পদ ফিরতে চলেছে।

   

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনেও আসনভিত্তিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল রাজ্যের শাসকদল। রানাঘাট কেন্দ্রের জন্য সব্যসাচী দত্ত, বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের জন্য সমীর চক্রবর্তী কিংবা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য জয়প্রকাশ মজুমদারকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়। উত্তরবঙ্গের অলিখিত পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অরূপ বিশ্বাসকে।

BJP: নীতীশ-নাইডুকে নিয়ে অস্বস্তি রয়েইছে, এবার মোদী-শাহদের নয়া চিন্তা শরিক আটওয়াল

এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, অরূপকে কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যবেক্ষক পদ দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুরের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুধুমাত্র এই জেলাগুলিই নয়, মালদহ-মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব দলের অভিজ্ঞ নেতা ফিরহাদ হাকিমের তুলে দেয় তৃণমূল।

বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন সাংসদ সুব্রত বক্সীকে। ২ জুন ভোটের রেজাল্ট বেরোনের ঠিক আগে পর্যবেক্ষকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকও করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতা পর্যবেক্ষক পদ ফিরিয়ে আনার কথা ঘোষণা করেন।

বিধানসভায় ‘আলুওয়ালা’ অবতারে শুভেন্দুর মুখে মমতার জন্য নতুন ‘নামতা’!

এরপরই তৃণমূলের অন্দরে পর্যবেক্ষক পদ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বিধানসভা ভোটের আগে ভোটবাক্স মজবুত করতে ফিরিয়ে আনা হতে পারে এই পদ। এক্ষেত্রে বলে রাখা উচিত, শুভেন্দু অধিকারী যখন তৃণমূলে ছিলেন তখন তিনি রাজ্যের একাধিক জেলায় দলের পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু তাঁর তৃণমূল ত্যাগের পরপরই সেই পদ তুলে দেয় জোড়াফুল শিবির।