চলতি কলকাতা ফুটবল লিগে (Calcutta Football League) তিন গোল করেও জয় পেল না পুলিশ অ্যাথেলেটিক ক্লাব (Police Athletic Club)। বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল গ্রাউন্ডে রেইনবোর বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল পুলিশ এসিকে। দু’গোলের লিড পেয়েও জয় ছিনিয়ে নিতে পারল না পুলিশ। অবনমনের জোনেই তারা রইল।
খাতায় কলমে পুলিশ অ্যাথেলেটিক ক্লাবের স্কোয়াড বেশ ভাল। কলকাতা ফুটবল লীগের পরীক্ষিত ফুটবলারদের নিয়ে গঠন করা হয়েছিল দল। দায়িত্বে অভিজ্ঞ কোচ। লিগ শুরু হওয়ার আগে, হাতে সময় নিয়ে অনুশীলন করেছিল দল। সুপার সিক্সে যাওয়ার দাবি রাখার মতো ক্ষমতা রয়েছে এই দলটার।
ফুটবল খাতায়-কলমে হয় না। ফুটবল হয় মাঠে নেমে। সেখানেই ম্যাচের পর ম্যাচ হতাশা নিয়ে মাঠে ছেড়েছিলেন পুলিশের ফুটবলাররা। গোল করার সুযোগ এসেছিল, গোল হয়নি। গোল যেমন হয়নি, তেমনই প্রতিপক্ষের গোল রুখতে পারেননি পুলিশ এসি দলের খেলোয়াড়রা। রেইনবোর বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে হেরেছিল পাঁচ ম্যাচে, দুই ম্যাচে ড্র। গ্ৰুপ বি পয়েন্ট তালিকার অবনমনের আওতায় পুলিশ অ্যাথেলেটিক ক্লাব।
চাপ বাড়ছিল পুলিশের ওপর। প্রথম একাদশে বদল করেও জয় আসছিল না। ডেডলক ভাঙার জন্য দরকার ছিল একটা গোল। সেই গোলটা শুক্রবারের ম্যাচে পেয়ে গিয়েছিল পুলিশ অ্যাথেলেটিক ক্লাব। রেইনবোর বিরুদ্ধে ম্যাচে তিন গোল পুলিশের। দু’বার জোড়া গোলের লিড নিয়েও হয়নি শেষ রক্ষা। ম্যাচের শেষের দিকে রেইনবোর হয়ে গোল করে স্কোরলাইন ৩-৩ করেন ইনজামাম-উল।
এদিনের ম্যাচের শুরু থেকে পুলিশের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ফৈজল আলি। বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল গ্রাউন্ডের কাদা মাঠে যথেষ্ট নজর কাড়লেন তিনি। দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে ঘাসের তলায় জমেছিল জল। খেলা যত এগিয়েছে ফুটবলারদের জন্য কাজ হয়েছিল তত কঠিন। কাদায় বল ঠিক মতো রোল হচ্ছিল না।
বিরতির আগে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পুলিশ অ্যাথেলেটিক ক্লাব। হেমন্ত সোরেন ও বসন্ত সিংয়ের করা গোলে লিড নিয়েছিল পুলিশ। বিরতির পর রেইনবো এক গোল শোধ করলেও ফৈজল গোল করে পুলিশের পক্ষে স্কোরলাইন করেন ৩-১। দুই গোলের ব্যবধানে ফের পিছিয়ে পড়েও দমে যায়নি রেইনবো। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষ হয় ৩-৩ স্কোরলাইনে।