জামাত ইসলামিকে জঙ্গি চিহ্নিত করে হাসিনার হুঙ্কার পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের ঠাঁই নেই

জামাত ইসলামি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া বার্তা “বাংলার মাটিতে জঙ্গিদের ঠাঁই হবে না”। সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে সাম্প্রতিক গণবিক্ষোভের…

Bangladesh

জামাত ইসলামি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া বার্তা “বাংলার মাটিতে জঙ্গিদের ঠাঁই হবে না”। সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে সাম্প্রতিক গণবিক্ষোভের পর রক্তাক্ত বাংলাদেশ। অভিযোগ, পড়ুয়াদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করেছিল জামাত ইসলামি ও বিভিন্ন সংগঠন। রক্তাক্ত বিক্ষোভ থামাতে সেনা নামাতে হয়। এরপরেই জামাত সংগঠনকে (বাংলাদেশ জামায়াত এ ইসলামী) নিষিদ্ধ করার বার্তা দেন শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার নিষিদ্ধ নোটিশ জারির কিছু আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অনুষ্ঠানে বলেন,” এরা তো জঙ্গিবাদি হিসেবে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে আবার ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। সেখানেও জঙ্গি সংগঠন হিসেবে এদেরকে মোকাবেলা করা ও মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা সকলে মিলে করতে হবে।”

   

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলার মাটিতে জঙ্গিদের ঠাঁই হবে না। সেইভাবে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমি দেশবাসীকে সজাগ থাকতে বলব, তাদের সহযোগিতা চাই।”

অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, দেশ যখন উন্নতির শিখরে উঠছে, তখন পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সব মেগা প্রকল্পে হামলা চালিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি শতভাগ মেনে নিয়েছি। দাবি মানার পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কি যৌক্তিকতা আছে?

‘হিংসা ছড়ানো’ জামাত ইসলামি নিষিদ্ধ হোক প্রস্তাবে সবুজ সংকেত শেখ হাসিনার

১৯৭২ সালের পর বাংলাদেশে ফের জামাত ইসলামি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হল। বাংলাদেশে জামাত ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার নির্বাহী আদেশে লেখা হয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই নোটিশে আরও লেখা হয়েছে, “যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সব অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তার সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তার সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।”

ইন্টারনেট সচল হতেই সংঘর্ষ বাংলাদেশে, পড়ুয়াদের হটাতে পুলিশের গুলি

জামাত নিষিদ্ধ করার আগেই বাংলাদেশ জুড়ে হিংসাত্মক আন্দোলনের আশঙ্কা বেড়েছে। জামাত ইসলামী ও দলটির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করার পর ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের সন্ত্রাস-নাশকতা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। রাজধানী ছাড়াও অন্যান্য বিভাগীয় সদর শহর, মফস্বল সর্বত্র পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক ও হিংসাত্মক বার্তা ছড়াচ্ছে। মনে করা হচ্ছে আত্মগোপনে থাকা জামাত নেতৃত্ব ও তাদের সহযোগীরা নাশকতা চালাতে পারে।