‘অধীর ভালো খেলোয়াড়, ভুল দলে রয়েছেন’, বলছেন বঙ্গ বিজেপি নেতা

লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরনোর পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। সবথেকে বড় কথা, মুর্শিদাবাদ…

RG Kar case Adhir Chowdhury anger against the role of kolkata police despite of silence of congress high command

লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরনোর পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। সবথেকে বড় কথা, মুর্শিদাবাদ আসন হাতছাড়া হয়েছে অধীরের। এরপর থেকেই নাকি অধীরের প্রতি চটেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এবার কি তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন? এই নিয়ে ফের জল্পনা বাড়ালেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

এমনিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে বরাবর তৃণমূল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। যে কারণে তিনি যে তৃণমূলে যাবেন না তা অনেকেই নিশ্চিত করে বলছেন। বাকি রইল তাহলে বিজেপি। তবে কি অধীর যোগ দেবেন গেরুয়া শিবিরে? এই অধীর প্রসঙ্গে এবার বড় মন্তব্য করলেন শমীক ভট্টাচার্য। অধীরকে ভালো ‘খেলোয়াড়’-এর তকমা দিয়েছেন তিনি।

   

এরপরেই বললেন, ‘অধীর ভালো খেলোয়াড়, ভুল দলে রয়েছেন। বিজেপিকে সমর্থন ছাড়া অধীরের কাছে আর কোনো পথ নেই। কংগ্রেসে থেকে যে তৃণমূল বিরোধীতা চলবে না খাড়গে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন।’ এদিকে সৌমিত্র খাঁ উল্টো কথা বলেছেন। তিনি বললেন, ‘নিজের দল তৈরি করুন।’ তাহলে কি অদূর ভবিষ্যতেও বিজেপিতে অধীরকে দেখতে চান না সৌমিত্র? উঠছে প্রশ্ন।

পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা লোকসভায় প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ক্ষোভ আরও বেড়েছে। এই ক্ষোভের মূল কারণ তাঁকে না জানিয়ে বঙ্গ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকসভা ভোটে হারের পর তাঁকে দলে একপ্রকার কোণঠাসা করেও রাখা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অধীর।

অধীর রঞ্জনের উপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের একটা বড় অংশ। বিশেষ করে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফ্রন্ট খুলেছিলেন, যার ফলে বাংলায় তৃণমূল ও কংগ্রেস জোট গঠন করতে পারেনি। এ কারণেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলছেন, ‘একটি টিভি সাক্ষাৎকারে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছিলেন, যদি আমাকে বাইরে রাখার প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি তা রাখবেন। কথাটা শুনে ভালো লাগেনি, কষ্ট লাগছিল। আমি সভাপতি ছিলাম কিন্তু আমার মতামতকে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।’