কেন্দ্রীয় বাজেটের ভাল-মন্দ নিয়ে নানা আলোচনা। এর মাঝেই গত সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন দেশের সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। আর্জি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ও জীবীন বিমার প্রিমিয়াম থেকে জিএসচি প্রত্যাহারের।
মহারাষ্ট্রের নাগপুরের সাংসদ নিতিন গড়কড়ি। সেখানকার এলআইসি কর্মী সংগঠন জীবন বিমায় জিএসটি আরোপ নিয়ে মন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেন বিমা থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের বিষয়টিতে তৎপর হন। বিমা কর্মী সংগঠনের সেইসব দাবিদাওয়ার কথা উল্লেখ করেই নির্মলা সীতারমণকে চিঠি লিখেছেন গড়কড়ী।
সেই চিঠিতে উল্লেখ, ‘ইউনিয়ন দ্বারা উত্থাপিত প্রধান সমস্যাটি জীবন এবং চিকিৎসা বিমা প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি প্রত্যাহারের সঙ্গে সম্পর্কিত। জীবন এবং স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়ামের উপর ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্ষ করা হয়। এই দুই বিমার উপর জিএসটি আদায় যেমন বিমাক্ষেত্রকে সঙ্কুচিত করছে, তেমনই প্রবীণ নাগরিকদের সমস্যার মুখে ফেলছে।’
চিনের সঙ্গে ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’র নাম বদলে হোক ‘তিব্বত সীমান্ত’, দাবি বিজেপি সাংসদের
গড়কড়ির চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘ইউনিয়ন মনে করে যে, যেসব ব্যক্তি জীবনের অনিশ্চয়তার ঝুঁকি কমাতে, পরিবারকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য বিমা করছেন সেই প্রিমিয়ামের উপর কর আরোপ করা উচিত নয়। একইভাবে, স্বাস্থ্য বিমা প্রিমিয়ামের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি ব্যবসার বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধক। কিন্তু এই দু’টি বিমাই স্পর্শকাতর ও সামাজিকভাবে প্রয়োজনীয়, তাই স্বাস্থ্য ও দীবন বিমার প্রিমিয়ামের উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।’
তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভান্ডারকে নিয়ে কুমন্তব্য উচিত হয়নি, আফসোস সিপিএমের
‘এক দেশ-এক কর’ ব্যবস্থা চালু হয়েছিল মোদীর শাসনকালেই। প্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির হাত ধরে সূচনা হয়েছিল জিএসটি-র। তৈরি হয় জিএসটি কাউন্সিলও। যারা মূলত করকাঠামোর বিষয়ে সরকারের কাছে বিভিন্ন সুপারিশ করে। গত ২২ জুন শেষ বার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছিল। অগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে ফের বৈঠকে বসার কথা জিএসটি কাউন্সিলের। সেই বৈঠকে গড়কড়ীর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।