দীর্ঘ টানাপড়েনের পর এবার সিদ্ধান্তে আসতে চলেছে সর্বভারতীয় ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন এবং পিএসসি। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ডিফেন্ডার আনোয়ার আলিকে (Anwar Ali) কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছিল দল বদলের বাজার। কিন্তু সময় যতো এগিয়েছে ততই জটিল হয়ে উঠতে শুরু করে গোটা পরিস্থিতি।
হিসাব অনুযায়ী সবুজ-মেরুনের সাথে লোনে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন আনোয়ার আলি। তবে পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমের একাংশের তরফে জানানো হয় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অভাব বোধ করায় পুরনো দল ছাড়তে চান জাতীয় দলের এই ফুটবলার। সেই সুযোগ কাজে লাগাতেই আসরে নামে পড়শী ক্লাব ইমামি ইস্টবেঙ্গল। শোনা যায় পড়শী ক্লাবে সই করেছেন তিনি। যদিও এখনো স্পষ্ট হয়নি সেই বিষয়টি।
আগামী ২ আগস্ট এই নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসতে চলেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি। যেখানে খতিয়ে দেখা হবে গোটা বিষয়টি। যেখানে দোষী প্রমাণিত হলে খেলোয়াড়ের মাস ছয়েক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দুইটি ট্রান্সফার ব্যানের ও সম্মুখীন হতে পারে দুই ক্লাব। যা নিয়ে এখন সরগরম ভারতীয় ফুটবল।
সত্যিই কী লাল-হলুদে সই করেছেন আনোয়ার আলি? সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই নিয়েই মুখ খুললেন ক্লাব শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি বলেন, ‘ এটি সম্পূর্ণভাবে দিল্লি এবং মোহনবাগানের বিষয়। এখনি কিছু বলার নেই। আমাদের সঙ্গে কি আছে, বা আদৌও কোনো কিছু আছে কিনা সেটা সময় মতো বলবো।’ পাশাপাশি স্প্যানিশ তারকা হেক্টর ইউস্তের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সেটি নিয়ে ও কোনোরকম মন্তব্য করতে চাননি তিনি।