ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাবের কাছে আটকে গিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan)। খাতায় কলমে পুলিশের থেকে বাগান অনেকটাই এগিয়ে। মোহনবাগানের যে দলটা এবার সিএফএল খেলছে সেই দলের অনেকেই গত মরসুমেও খেলেছিলেন। কারও কারও রয়েছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ খেলার অভিজ্ঞতা। বাংলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিভা যুক্ত হয়েছেন সবুজ মেরুন তাঁবুতে। শুনতে সবই ভালো, কাজের কাজটাই যা হচ্ছে না।
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল খেয়ে ম্যাচ ড্র করল Mohun Bagan
২০২৩-২৪ মরসুমে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের রিজার্ভ দলের কোচ ছিলেন বাস্তব রায়। এবার কোচ ডেগি কার্ডজা। গোয়ায় ডেগি সুনামের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। কলকাতা তাঁর কাছে নতুন পরিবেশ, এখনও নিজেকে চেনাতে পারেননি সেভাবে। প্রশ্ন উঠতে পারে, রিজার্ভ দলের জন্য কি বাঙালি কোনও কোচ নিয়োগ করা যেত না, যিনি স্থানীয় ফুটবলের সঙ্গে ওয়াকিবহাল?
বাগানের বিরুদ্ধে পুলিশ কোচ বিজয় ঘোষ শুরু থেকে ট্যাকটিক্যাল খেলার মাধ্যমে সবুজ মেরুন তরীকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এক গোলে পিছিয়ে পাড়ার পর খেলোয়াড় পরিবর্তন করেছেন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। রক্ষণভাগের পাশাপাশি আক্রমণভাগেও বদল এনেছিলেন।
IPL-এ ফিরতে চলেছেন যুবরাজ সিং! পেতে পারেন গুরু দায়িত্ব
জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করার সুখ্যাতি রয়েছে বিজয়ের। বাংলার অনুর্ধ ২০ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের দায়িত্ব সামলেছেন। অতীতে সবুজ মেরুন শিবিরে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন বহু বাঙালি কোচ। বাস্তব রায় এই রিজার্ভ দলকে গড়ার অন্যতম কারিগর। মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ শংঙ্করলাল চক্রবর্তী এখন পাঞ্জাব এফসির জুনিয়র দলের কোচ। ভিন রাজ্যে কোচিং করাচ্ছেন অনেক বাঙালি। পেশাদাফ ফুটবলে আবেগের জায়গা কম। বাংলার ক্লাবে বাঙালিরাই কেন ব্রাত্য? তবু এই প্রশ্ন থাকবে।