দুটি বক্তব্যের মধ্যে সময়ের ব্যবধান মাত্র ২৪ ঘণ্টা। আর এর মধ্যেই দিলীপ ঘোষের বক্তব্য সমর্থন করলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং(Arjun Singh) । শুধু সমর্থন নয়, একপ্রকার বিরোধীদের ভোট করানোর কৌশলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তথাকথিত বাহুবলী। এখানেই শেষ নয়, ব্যঙ্গ করে তিনি বলেছেন যে, ‘শেষমেষ কেউ বুঝল যে পশ্চিমবঙ্গে ভোট হয় না, এখানে ভোট করাতে হয়।’ আর এখানেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি তিনি তাঁর ঘরে ফেরার জন্য এখন থেকে রাস্তা মসৃণ করতে চাইছেন। তবে এই নিয়ে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির।
ঘর ছেড়ে কোথাও যেতে পারবে না, বিজেপি মন্ত্রীর ছেলেকে কড়া বিধিনিষেধ আদালতের
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। দলীয় নির্দেশে বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে বিজেপির কার্যকারিণীর বৈঠকে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ । সেই বৈঠকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দিলীপ বলেন, ‘‘২০২১ সালের নির্বাচনে আমাদের ৭৭টি আসন পেয়েছিলাম। আশা করেছিলাম, আমরা ১০০-র বেশি আসন পাব। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ ও সরকারি কর্মচারীরাও তা-ই ভেবেছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। কারণ, আমরা সংগঠন জানি। আন্দোলন করতে জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না। প্রতিটি নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের ভোট করাতে শিখতে হবে।’’ এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সেই ঘটনার চব্বিশ ঘন্টা না পেরোতেই অর্জুন সিং এই বক্তব্যকে সমর্থন করলেন এবং বিরোধীদলের প্রশংসা করে বললেন, ‘ ওরা জানে কী করে ভোট করাতে হয়। ওদের দেখে শেখা উচিত।’ শুধু তাই নয়, নিজেদের ভুল ত্রুটি শুধরে নিয়ে কাজ করতে হবে বার্তা দিয়েছেন অর্জুন সিং। তিনি দিলীপ ঘোষকে ‘ সিনিয়র লিডার’ বলে উল্লেখ করে বলেন যে ওনার কথা দলের নিচুতলার কর্মীদের কাছে পৌঁছালে দলেরই লাভ হবে।
TMC Panihati: তৃণমূলের মারমুখী গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে যেন মমতা-অভিষেককেই অমান্যের ঔদ্ধত্য পানিহাটিতে!
তবে এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, অর্জুন সিং তাঁর পুরোনো দলে ফেরার জন্য প্রবল চেষ্টা করছেন। তাই তাঁর অবস্থান নিয়ে ফের দ্বন্দ্বে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত গতকালই ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন যে, দলের কর্মীদের আর নম্র হতে, শুধু তাই নয় পুরোনো কর্মীদের ফিরিয়ে আনার জন্যও পরোক্ষ ভাবে বার্তা দিয়েছেন তিনি। তারপরেই সোমবার অর্জুন সিং-এর এই মন্তব্যে শুরু হয়েছে শোরগোল।