মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মরা টিকটিকি, গুরুতর অসুস্থ ১৪ জন

ফের শিরোনামে মিড ডে মিলের খাবার। এবার খিচুড়িতে মিলল মরা টিকটিকি। আর এই খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হল অনেকে। ভাগলপুরের কুমাইথা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত…

ফের শিরোনামে মিড ডে মিলের খাবার। এবার খিচুড়িতে মিলল মরা টিকটিকি। আর এই খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হল অনেকে।

ভাগলপুরের কুমাইথা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মধুসূদনপুর নাবতোলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল খেয়ে প্রধান শিক্ষক ও ১৪ জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। সন্তানদের বমি করতে দেখে অভিভাবকরা রেগে যান। তারা সবাই স্কুলে পৌঁছে হট্টগোল শুরু করেন। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা সুলতানগঞ্জ-শাহকুণ্ড প্রধান সড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। এদিকে খবর পাওয়া মাত্রই বিডিও সঞ্জীব কুমার, থানার প্রধান কানহাইয়া কুমার ঝা এবং ব্লক স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসার রাকেশ কুমার সেখানে পৌঁছে যান এবং গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন।

   

যদিও মিড ডে মিলের খাবারে মরা টিকটিকি পাওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। বিডিও ও থানার প্রধান অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য শাহকুন্ড হাসপাতালে পাঠান। চিকিৎসক জানান, অসুস্থ শিশুরা খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হয়েছে। যদিও এখন অসুস্থ শিশুরা সবাই ভালো আছে এবং আশঙ্কামুক্ত। এ প্রসঙ্গে ব্লক এডুকেশন অফিসার রেখা ভারতী জানান, খাবারে টিকটিকি বেরোনোর কথা প্রধান শিক্ষক তাঁকে জানিয়েছিলেন। বিষয়টি তারা মিড-ডে মিল বিআরপিকে জানান।

এমডিএম বিআরপি ভূপেশ কুমার সিনহা বলেন, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দেওয়া খাবারে টিকটিকি থাকার তথ্য পেয়েছে স্কুলটি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।