লোকসভা ভোটে গেরুয়া দুর্গে হানা দিয়েছিল তৃণমূল (Mamata Banerjee)। কোচবিহারে বিজেপির নিশীথ প্রামানিককে পরাজিত করেছিলেন তৃণমূলের জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। আর বিধানসভা উপনির্বাচনে উত্তরে তো কার্যত সবুজ ঝড় বয়েছে। রায়গঞ্জ কেন্দ্র দখল করেছেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। এই দুই ফলে উজ্জীবিত উত্তরবঙ্গের লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী ভিড় জমাচ্ছেন ধর্মতলায়।
লক্ষ্য একটাই, তা হল নেত্রীর ভাষণ শোনা। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে লড়ার জন্য কী বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো সেদিকেই নজর সকলের। শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রী-কর্মী-সমর্থকরাই নন, উপস্থিত থাকতে পারেন ইন্ডি জোটের হেভিওয়েট নেতারা। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব মমতার সঙ্গে মূলমঞ্চে থাকতে পারেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মীরা ধর্মতলার সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। তবে বাকি জেলাগুলি থেকেও কয়েক লক্ষ মানুষ আসছেন নেত্রীর ভাষণ শুনতে। সকাল থেকেই ধর্মতলামুখী বাংলা। শিয়ালদহ, হাওড়া থেকে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে।
‘আমি বাংলার সকল মানুষকে…’, ৯ কোটি রাজ্যবাসীর কাছে বিশেষ আবেদন মমতার
এবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চের আকৃতি হয়েছে ইংরেজি অক্ষর এল (L)-এর মত। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য মঞ্চের সামনের ভাগ থাকছে। এই অংশের মাপ ৫২ ফুট বাই ২৮, উচ্চতা ১০ ফুট। আগে এর মাপ থাকতো ৪৮ ফুট হতো। দ্বিতীয় ভাগ ৪৮ ফুট বাই ২৪ ফুট, উচ্চতা ১১ ফুট। তৃতীয় ভাগ হবে ৪৮ ফুট বাই ২০ ফুট, উচ্চতা ১২ ফুট।
মঞ্চের প্রথম ভাগে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা। বাকি দু’টি মঞ্চে থাকবেন তৃণমূল সাংসদ, বিধায়করা। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আলাদা র্যাম্প থাকছে। এছাড়া অন্যান্য মন্ত্রীদের জন্য র্যাম্প তৈরি হচ্ছে। বৃষ্টিতে যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তাই মঞ্চের ব্যাকড্রপ আগের তুলনায় মোটা করা হচ্ছে। ৪০ ফুট বাই ৩০ ফুট। থাকছে ১৩ জায়ান্ট স্ক্রিন, প্রায় ৪০০০ স্বেচ্ছাসেবক।
TMC 21 July: ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ পরিদর্শনে মমতা, চায়ে চুমুক দিতে দিতে শুনলেন খুঁটিনাটি