গত দুবছর ধরে ঝুলে রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলাটি। আন্দোলন করেও মেলেনি কোনও সুরাহা। সরকারি কর্মচারিদের একাধিক সংগঠন এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আর্জি জানিয়ে এসেছে রাজ্যের কাছে। তবুও ডিএ নিয়ে টু শব্দটি করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তারপর নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কর্মী সংগঠনগুলি। গত ১ ডিসেম্বর মামলার শেষ শুনানি হয়েছিল আদালতে।
পোর্টাল খুলে ১০০ জনকে নিয়ে আবারও শুভেন্দুর অভিযান! পদ্মবনের অধিকার বাঁচাতে রাজভবনই ভরসা?
এরপর প্রায় চার মাস পরে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উঠছে রাজ্যের ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) মামলা। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর ছিল, সোমবার বিকেল নাগাদ মামলাটির শুনানি হবে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা শুনবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে ১১ বার এই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কোনও নির্দেশ দেয়নি। এমতাবস্থায় বর্ধিত ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের নজর এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে।
‘খেলা শুরু’ অভিজিতের! মমতাকে বিরাট চ্যালেঞ্জ তমলুকের বিজেপি সাংসদের
২০২২ সালে ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বার ওঠে ডিএ মামলা। গত বছর ১ ডিসেম্বর মামলাটির শেষ বার শুনানি হয়েছিল। ওই বছর নভেম্বরের ৩ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে আরও বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। তার পরে সময়ের অভাবে মামলাটির আর শুনানি হয়ে ওঠেনি। ডিএ মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, বর্তমানে মামলাটি যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে এখনই তার নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। আরও সময় লাগতে পারে।
কত কম টাকায় চড়তে পারবেন ‘বন্দে ভারত’? রইল তালিকা
এই ডিএ আন্দোলনে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মাঠে নামে বাম-বিজেপির মতো রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। ডিএ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনঠাসা করতে উঠে পড়ে লাগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে রাজ্যের আইনজীবী হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টে নির্ধারিত আর্থিক নীতি মেনে ডিএ দিলে রাজ্যের ব্যয় হবে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। এই বিপুল অর্থ এই মূহুর্তে রাজ্যের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই আদালতে জানান তিনি।