হঠাৎ বদলির নোটিসে অফিসারদের চোখে নায়কের অনিল কাপুর! ভূমি দফতরের বাস্তুঘুঘু তাড়াতে মরিয়া মমতা?

‘নায়ক’ সিনেমার অনিল কাপুর আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মধ্যে যেন গুলিয়ে ফেলছেন নবান্নের অনেক পোড় খাওয়া আধিকারিকরা। লোকসভা ভোটের পরপরই প্রশাসনিক বৈঠকে জমি দখল…

Untitled 1 হঠাৎ বদলির নোটিসে অফিসারদের চোখে নায়কের অনিল কাপুর! ভূমি দফতরের বাস্তুঘুঘু তাড়াতে মরিয়া মমতা?

‘নায়ক’ সিনেমার অনিল কাপুর আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মধ্যে যেন গুলিয়ে ফেলছেন নবান্নের অনেক পোড় খাওয়া আধিকারিকরা। লোকসভা ভোটের পরপরই প্রশাসনিক বৈঠকে জমি দখল নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। আন্দাজ করা গিয়েছিল এবার একটা বড়সড়ো রকমের ঝাঁকুনি আসতে চলেছে। সেই আন্দাজই সত্যি হল।

শুধু প্রশাসনিক রদবদল নয়, খোলনলচে পাল্টাবার লক্ষ্যেই এবার যেন মরিয়া হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এর আগেও নবান্ন সূত্রে বিভিন্ন বদলির নোটিশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু এবার ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব দপ্তরের যে বদলির নোটিশ জারি করা হয়েছে তা এক কথায় অভাবনীয়।

   

নবান্ন সূত্রে খবর প্রথমদফায় আপাতত ১৮০ জনেরও বেশি বিএলআরও অফিসার সহ মোট ৪৫৬ জন ভূমি দফতরের অফিসারদের বদলির নোটিশ ধরানো হয়েছে। কলকাতা পুরুলিয়া বাঁকুড়া থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ, রাজ্যের প্রায় প্রত্যেকটি জেলাতেই বদলির খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিএলআরওরাই শুধু নয়, ৭২ জন রেভিনিউ অফিসারকেও বদলি করা হচ্ছে। সব থেকে বেশি বদলি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

‘আমি হারছি,…’, ভোট চলাকালীনই ঘোষণা বিজেপি প্রার্থীর

ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে আরও খবর যে আগামী ১২ই জুলাই এর মধ্যে বদলি হওয়া অফিসারদের রিলিজ করার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগেই সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে তাঁর কাছে রীতিমত প্রমাণ রয়েছে। নবান্ন সূত্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খোঁজখবর করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।

দুই রিপোর্ট মিলিয়ে যে সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে, সেখানেই বদলি দাওয়াই দিয়েছে নবান্ন। শুধু নতুন জায়গাতে ট্রান্সফার নয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার পোস্টের ডিমোশনও হয়েছে। অর্থাৎ অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে তাদের ট্রান্সফার নিচু পোস্টে হয়েছে এমনও শোনা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ভূমি  দফতরের  প্রায় ৪০ শতাংশ অফিসারেরই বদলি হচ্ছে।

প্রায় ১৩ বছরের ওপরে চলা সরকারে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি জমি দখল, জমির চরিত্র বদল করে হাত বদল, জলাভূমিকে খাস জমির অবৈধ সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভুরিভুরি।

সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ। আর এই সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব দপ্তর থেকে শুরু করে বিএলআর অফিসের দিকেই। এবার সেই গোটা সিস্টেমটাকেই ঝাঁকুনি দিতে চাইলেন মমতা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলে মুখ পুড়েছিল, বুধে হারের যুক্তি সাজাতে আপ্রাণ চেষ্টা কল্যাণের

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট তথা প্রোমোটার দেবাশীষ প্রামানিকের বিরুদ্ধে নবান্ন থেকেই সোচ্চার হয়েছিলেন মমতা। পরবর্তীকালে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। এবার তার সাথে যুক্ত হল ১৮০ জন অফিসারের বদলি। ভূমি দপ্তরের বাস্তু ঘুঘু উৎখাত করতে মরিয়া মমতা? আপাতত সেটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।