সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন চোপড়ার নির্যাতিতা। গত ৩০ জুন এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁর অনুমতি ছাড়া কেন নির্যাতনের ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতা।
এফআইআরটি বাংলায় লেখা হয়েছে। যার বয়ান জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ওই সংবাদ মাধ্যমের অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ‘সোশাল মিডিয়ায় আমার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যার জন্য আমার সম্মানহানি হয়েছে। ফলে সমাজে আমার বাস করা খুব অনুপযোগী হয়ে গিয়েছে।’ মহঃ সেলিম ও অমিত মালব্যর নাম উল্লেখ করে নির্যাতিতা জানিয়েছেন যে, ‘আমি চাই যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং আমার ভিডিও অবিলম্বে মুছে দেওয়া হোক।’
এফআইআর অনুসারে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) ধারা ৭৯ (নারীর শালীনতার অবমাননা), ২৯৪ (অশ্লীলতা), ৩৫৬ (2) (মানহানি) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আইটি আইনের ধারা ৬৬-এ (কম্পিউটার বা অন্যান্য যোগাযোগ ডিভাইসের মাধ্যমে আপত্তিকর বার্তা পাঠানো) ৬৬-ই (সম্মতি ছাড়াই একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত চিত্র ক্যাপচার করা), ৬৭-এ (প্রকাশিত সামগ্রী যা ইলেকট্রনিক আকারে যৌন সুস্পষ্ট কাজ বা আচরণ রয়েছে) ধারার মামলা।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিমের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর আসলে ‘প্রতিবাদী কণ্ঠের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা’।
সন্দেশখালি মামলা: ফের মুখ পুড়ল মমতা সরকারের! সুপ্রিম কোর্টে খারিজ সিবিআই তদন্তের চ্যালেঞ্জ
উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি সহ-সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, ‘ভুক্তভোগীকে তাঁর বক্তব্য পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। তারপর, তিনি রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হন। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কীসে পরিণত হয়েছে, এটাই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ভিডিওটির মাধ্যমেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল এবং পুলিশ এই ধরণের অমানবিক কাজের জন্য টিএমসির বাহুবলী নেতাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।’
ঘটনার পরে সংবাদ মাধ্যমে মহিলা জানিয়েছিলেন যে, তিনি নির্যাতনের ওই ভিডিওটির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। বলেন, ‘ভিডিওটি ছড়িয়ে না পড়লে এখানে যা ঘটেছে তা এখানেই থেকে যেত। ওই ঘটনার ভিডিওগ্রাফ করা উচিত ছিল না।’
গত ২৮ জুন চোপড়ায় রাস্তায় ফেলে মহিলা ও তাঁর পুরুষ সঙ্গীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। যার ভিডিও ৩০ জুন প্রকাশ্যে আসে। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ফলে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। মূল অভিযুক্ত চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের অনুগামী জেসিবিকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু বয় কাটেনি নির্য়াতিতদের। মারধরের ভিডিও ভাইরাল করতে পারে, এমন সন্দেহে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে শাসিয়ে আসছিল জেসিবির ভাই সহ সহযোগিরা। এলাকায় তারা তাণ্ডব চালায় বলেও অভিযোগ।