খেলতে খেলতে পুকুরে ঝাঁপ! আর তারপরই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা (Agra Tragedy)। একে একে পুকুরে তলিয়ে গেল ৮ শিশু। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি (Agra Tragedy) উত্তর প্রদেশের আগ্রার। খান্ডোলি থানা এলাকায় আগ্রা যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের লাগোয়া এলটি পুকুরে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এসিপি সুকন্যা শর্মা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডুবুরিদের সহায়তায় পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শিশুরা পুকুর পাড়ে খেলছিল। খেলার ছলে পুকুরে ঝাঁপ দিতেই একে একে তলিয়ে যায় সকলে। আর তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। মৃতদের বয়স ৮ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
কানপুর এবং আউরাইয়ার ৭টি শ্রমিক পরিবার খান্ডৌলি যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া এলাকায় তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করে। প্রতিদিন আশপাশের গ্রামে গিয়ে জিনিসপত্র বিক্রি করাই তাঁদের কাজ। আজ সকালে হিনা, খুশি ও চাঁদনি নামে তিন শিশু স্নান করতে পুকুরে নামে। কিছুক্ষণের মধ্যে তারা তলিয়ে যায়।
ধ্বংসস্তূপ সরাতেই মিলছে একের পর লাশ, গুজরাতে বহুতল-বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ৭
জলে ডুবে যাচ্ছে আন্দাজ করেই তারা চেঁচাতে থাকে। শিশুদের আর্তনাদ শুনে পরিবারের পাঁচ সদস্য – ছিগা, অনুরাধা, রাগিনী, প্রাচী, সানি ও রিয়া পুকুরে ঝাঁপ দেন। কিন্তু তাঁরাও তলিয়ে যান। এরপর গ্রামের বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং গ্রামবাসীরা দড়ি দিয়ে সবাইকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে। মৃত চার শিশুর নাম খুশি, নেহা, অনুরাধা ও চাঁদনি।
আগ্রা পুলিশ কমিশনারেটের তরফে সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, এক মহিলা এবং চার শিশুকে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। স্টেশন ইনচার্জ খান্ডৌলি পৌঁছে ওই ৫ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সামান্য চিঠি লিখতেও পারেন না! সুপ্রিম কোর্টের কড়া ধমক খেলেন শিক্ষকরা