মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামহানি মামলা করেছেন রাজ্যপাল। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের বেঞ্চে হয় শুনানি। এ দিন রাজ্যপালের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল সম্পর্কে যেসব মন্তব্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করেছেন তাতে তাঁর সম্মানহানি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্য সংবাদ মাধ্যমে ভিডিও-তে দেকা যাচ্ছে, বক্তব্য লেখা হয়েছে বলেও দাবি করেন। এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের।
কী বলেছেন রাজ্যপালের আইনজীবী?
রাজ্যপালের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী এজলাসে বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমে যা লেখা হয়েছে সেটা ওই ব্যক্তি নিজেই বলেছেন। এতে রাজ্যপালের সম্মানহানি হচ্ছে। আর্জি জানাচ্ছি যাতে, এঁরা কেউ যেন আগামিদিনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য না করেন।’
এরপরই বিচারপতি কৃষ্ণা রাও প্রশ্ন করেন, ‘সংবাদপত্রকে পার্টি করা হয়নি?’
ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত, বুধে কলকাতা সহ ৬ জেলায় ভারী বৃষ্টির অ্যালার্ট জারি
জবাবে রাজ্যপালের আইনজীবী জিজ্ঞাসা করেন, ‘এখানে কি সেটা প্রয়োজনীয়?’
বিচারপতির নির্দেশ-
এরপরই বিচারপতির নির্দেশে বলেন, সব সংবাদমাধ্যমকে মামলায় যুক্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার ফের এই মানহানি মামলার শুনানি রয়েছে।
এই মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়. কুণাল ঘোষ ছাড়া তৃণমূল দুই জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রায়াত হোসেনকেও যুক্ত করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে নবান্নের একটি সরকারি বৈঠক থেকে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের দুই হবু বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে বিধানসভা ভবনের যে টানাপড়েন চলছে, সে ব্যাপারে মমতা বলেছিলেন, ‘উনি হয় স্পিকারকে এই অধিকার (শপথগ্রহণ করানোর) দিন, নয়তো ডেপুটি স্পিকারকে দিন। আর তা না হলে নিজে বিধানসভায় যান। ওঁর রাজভবনে কেন সকলে যাবে? রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে।’
যার পাল্টা রাজ্যপাল বলেছিলেন যে, ‘আমার আত্মসম্মানে আঘাত লাগে, এমন কোনও মন্তব্য যদি কেউ করে থাকেন, তাহলে তাঁকে তাঁর ফল ভুগতে হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর নাম উচ্চারণ না করে তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি আমার প্রশাসনিক সহকর্মী। কিন্তু তিনি এক্ষেত্রে দোষী।’ এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃমূলের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলার কথা জানিয়েছিলেন।