সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট রাজ্যসভা সদস্য সাকেত গোখেলকে মানহানির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা এবং সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ক্ষমাভিক্ষার বার্তাটি অন্ততপক্ষে ৬ মাস তাঁর হ্যান্ডলে থাকতে হবে বলে নির্দেশে জানিয়েছে আদালত।
বিতর্কের সূত্রপাত রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিযুক্ত ভারতের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি-জেনারেল লক্ষ্মী পুরী সম্পর্কে অবমাননাকর ট্যুইট করা থেকে। ২০২১ সালের ১৩ জুন এবং ২৬ জুন সাকেত তাঁকে নিয়ে টুইটে অভিযোগ করেন, লক্ষ্মী পুরী আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন রোজগারে সুইৎজারল্যান্ডে জমিবাড়ি কিনেছেন। সাকেত ওই ট্যুইটে লক্ষ্মী পুরীর স্বামী কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর নামও যুক্ত করেন। এরপরই প্রাক্তন কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরী সাংসদ সাকেত গোখেলর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন।
প্রথম বক্তব্যেই বিতর্কের সাইক্লোন! হিন্দুত্ব দিয়ে রাহুল দেখালেন বিরোধিতা কাকে বলে
প্রাক্তন কূটনীতিক পুরী ২০২১ সালে বলেছিলেন, সাকেত গোখেলের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বাস্তবে ভিত্তিহীন। সাকেত যা লিখেছেন তাতে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে। তাঁর আয় সম্পর্কে সাকেতের দাবির কোনও ভিত্তি নেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি ডেপুটেশনে গিয়েছিলেন।
সোমবার মামলার রায়ে দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, সাকেতকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠিত সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে ক্ষমা চাইতে হবে।
বাংলায় মেগা উদ্যোগ রেলের, ট্রেনের জানলা দিয়ে পাহাড়ি সৌন্দর্য্য উপভোগ এখন আরও মনোরম