শপথ বিতর্ক: রাজ্যপালের কাছে নজিরবিহীন আবেদন বিধানসভার স্পিকারের!

জারি শপথ বিতর্ক। এখনও বিধায়ক হিসাবে শপথ নিতে পারেননি বরাহনগরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার রেয়াত হোসেন। সোমবারও বিধানসভা চত্বরে ধর্নায় বসেছেন এই…

if necessary i will receive the Governor from the gate of the Assembly speaker Biman Banerjee said on Sayantika and Reyat Hussain oath debate

জারি শপথ বিতর্ক। এখনও বিধায়ক হিসাবে শপথ নিতে পারেননি বরাহনগরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার রেয়াত হোসেন। সোমবারও বিধানসভা চত্বরে ধর্নায় বসেছেন এই দুই জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। সূত্রের খবর, ফের তৃণমূলের জয়ী দু’জন রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছেন। আবেদন জানাবেন বিধানসভায় এসেই তাঁদের যেন রাজ্যপাল শপথবাক্য পাঠ করান। যা নিয়েই এ দিন মুখ খুলেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

শপথ না নিতে পারার জন্য সোমবারও রাজ্যপালকেই দুষেছেন বিমানবাবু। বলেছেন, ‘আমি চাই আজই শপথ হোক। সারা রাজ্যের মানুষ দেখছেন। তামাশার জায়গা করে দিচ্ছেন। রাজ্যপালের বোঝা উচিত। এখনও আমি তাঁর কাছে আবেদন করব আপনি আসুন ওদের শপথবাক্য পাঠ করান। আমি আপনাকে গেট থেকে রিসিভ করে বিধানসভায় নিয়ে আসব।’

   

রাজ্যপালের পাশাপাশি স্পিকারকেও সোমবারও চিঠি পাঠিয়েছেন সায়ন্তিকারা। সে কথা নিজেই জানিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘ওদের চিঠির প্রেক্ষাপটে আমিও চিঠি লিখব।’ পাশাপাশি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি আবারও বলছি, রাজ্যপাল আসুন বিধানসভায় ওদের শপথ বাক্য পাঠ করান। আর যদি ওনার এখানে আসতে অসুবিধা থাকে তাহলে পরিষদীয় গণতন্ত্রের কনভেশন অনুযায়ী স্পিকারের উপর দায়িত্ব দিন শপথবাক্য পাঠ করাতে।’

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতের কথা তুলে দরে বলেছেন, ‘ওঁরা (সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেয়াত হোসেন) বিধানসভার সদস্য তাই এখানেই ওঁদের শপথ হওয়া বাঞ্ছনীয়। এটা এর আগে একাধিকাবার হয়েছে। রাজ্যপাল থাকাকালীন জগদীপ ধনখড় বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী সহ আরও দু’জনকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন। ওর অসুবিধা কোথায়? এটা তো জেদাজেদির প্রশ্ন নয়। সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে নিজের দায়িত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।’