উপনির্বাচনের বাকি আসনগুলিরও ভোটের দিন ঘোষণা কমিশনের

দেশের বাকি আসনগুলির উপনির্বাচনের (Bypoll 2024) দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। চার রাজ্যে বিধান পরিষদের পাঁচটি শূন্যপদ পূরণের জন্য ১২ জুলাই উপনির্বাচন (Bypoll 2024) হবে…

Election-Commission

দেশের বাকি আসনগুলির উপনির্বাচনের (Bypoll 2024) দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। চার রাজ্যে বিধান পরিষদের পাঁচটি শূন্যপদ পূরণের জন্য ১২ জুলাই উপনির্বাচন (Bypoll 2024) হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। বিধান পরিষদের (এমএলসি) সদস্যদের পদত্যাগের কারণে তিনটি আসনে উপনির্বাচন হবে। বাকি দুটি আসনে ভোট হবে দুই সদস্যের অযোগ্য বলে প্রমাণিত হওয়ায়।

চলতি বছর জানুয়ারি মাসে কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এমএলসি পদ থেকে ইস্তফা দেন। ধারওয়াড় সেন্ট্রাল অ্যাসেম্বলি আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিট না পেয়ে তিনি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে শেট্টার বিজেপিতে প্রত্যাবর্তন করেন। লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হয়েছেন তিনি।

   

ফেব্রুয়ারিতে স্বামী প্রসাদ মৌর্য সমাজবাদী পার্টি ছাড়ার পর বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করায় উত্তর প্রদেশ বিধান পরিষদে একটি শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশে একটি করে আসন শূন্য হয়েছে বর্তমান সদস্যদের অযোগ্যতার কারণে। অন্ধ্র প্রদেশ বিধান পরিষদের আরেকটি আসন এপ্রিলে ফাঁকা হয়ে যায়। ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির এমএলসি শেখ মহাম্মদ ইকবাল দল এবং তাঁর সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি খালি হয়।

ভেস্তে গেল মমতার চাল! তৃণমূলকে ১০ গোল দিলেন মোদী-শাহ

২৫ জুন এই পাঁচ আসনে উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২ জুলাই। ৩ জুলাই মনোনয়নপত্র যাচাই করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৫ জুলাই। ১২ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি ভোটগ্রহণ। ১২ জুলাই বিকেল ৫টার পর ভোটগণনা। ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে ভোটপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

বিধান পরিষদ ভারতের রাজ্য আইনসভার একটি অঙ্গ। ভারতের ছ’টি রাজ্যে (উত্তর প্রদেশ, বিহার, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, জম্মু ও কাশ্মীর এবং অন্ধ্র প্রদেশ) বিধান পরিষদ রয়েছে। বিধান পরিষদ দ্বিকক্ষীয় রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষ হিসেবে কাজ করে। এই কক্ষের সদস্যরা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন। এটি একটি স্থায়ী কক্ষ, কারণ এই কক্ষ অবলুপ্ত করা যায় না।

‘টালিনালা বুজিয়ে বাড়ি বানিয়েছেন মমতা’, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

রাজ্যসভার সাংসদদের মতো বিধান পরিষদ সদস্যরা ৬ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। প্রতি দুই বছর অন্তর দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর নেন। কেবলমাত্র ভারতীয় নাগরিক, কমপক্ষে ৩০ বছর বয়সী, বিকৃতমস্তিষ্ক বা দেউলিয়া নন এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দারাই বিধান পরিষদে নির্বাচিত হতে পারেন বলে ভারতীয় সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।