তুষারের একটি স্তূপ। এই স্তূপের আবিষ্কারক কাশ্মীরের মুসলিম মেষপালক বোটা মালিক। পাহাড়ি গুহায় সেই তুষার স্তূপ পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় আস্থায় পরিবর্তিত হয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবাদিদেব মহাদেবের তুষার রূপ বলে চিহ্নিত। আর প্রকৃতি ও ভূবিজ্ঞানীরা বলেন, হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় জল জমে এই তুষার স্তূপ তৈরি হয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে। সবমিলে তুষারতীর্থ অমরমাথ ও এই গুহা দর্শন (Amarnath Yatra) তীব্র চর্চিত।
আকাশবাণী সংবাদ জানাতে, যথোচিত ধর্মীয় মর্যাদায় জম্মু কাশ্মীরে এ বছরের বার্ষিক অমরনাথ যাত্রা আজ (শনিবার) সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তায় পুন্যার্থীদের প্রথম দলটি প্যাহেলগাঁও ও বালতাল দুটি রুটেই পবিত্র গুহার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। ৫২ দিনের এই তীর্থযাত্রা শেষ হবে আগামী ১৯-শে আগস্ট শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন।
পিটিআই জানাচ্ছে, অমরমাথ যাত্রা সুসম্পন্ন করতে সবরকমের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহা ভগবতীনগর বেস ক্যাম্পে পতাকা নাড়িয়ে যাত্রার সূচনা করেন। তিনি এই তীর্থ যাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য সকলের প্রতি আবেদন জানান। এখনো পর্যন্ত ৪ লক্ষের বেশী ভক্ত এবারের অমরনাথ যাত্রার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন।
অমরমাথ যাত্রা আগে জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে। হামলা রুখে যাত্রা নির্বিঘ্নে করার জন্য পুরো পাহাড়ি পথ বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা।
কুলগামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আতহার আমির খান সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন. “আমরা তাদের সবাইকে স্বাগত জানাই। তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা রয়েছে।
তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এলাকার আধিপত্য, বিস্তৃত রুট স্থাপনা এবং চেকপয়েন্ট। আজ থেকে 19 আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন রুটে ট্র্যাফিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে, যাত্রীদের অসুবিধা কমানোর জন্য প্রতিদিনের পরামর্শ জারি করা হবে।
অমরনাথ যাত্রীদের জন্য 125টিরও বেশি কমিউনিটি রান্নাঘর স্থাপন করা হয়েছে। এই রান্নাঘরগুলি 6,000 এর বেশি স্বেচ্ছাসেবকদে পরিচালিত।