শত শত ‘যৌনদাসী’ তৈরির ব্যবসা (Sex Racket) চলছিল। এই যৌনদাসীদের দিয়ে বিপুল কমিশন রোজগারের চক্র ভাঙল ওপার বাংলার সিআইডি। তদন্তে উঠে এসেছে মেডিকেল পডুয়া এই চক্র গড়ে তুলেছিল। তাদের যৌন ব্যবসার জালে পড়েছে শতাধিক নারী
কর্মজীবী মহিলা তকমা দিয়ে চলছে যৌন ব্যবসার বিরাট কারবার। ‘যৌনদাসী’ কারবারের চক্র সামনে আসায় বাংলাদেশে আলোড়ন। তদন্তে উঠে এসেছে, এই যৌনদাসীরা বিভিন্ন দেশে সক্রিয়। নিম্ন আয়ের পরিবার থেকেই যৌনদাসীদের বেছে নেওয়া হত। চক্রের মোট আট জন ধৃত।
বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি জানিয়েছে, একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ভয়ংকর এই চক্রের সন্ধান মিলেছে। ডাক্তারি পড়ুয়া মেহেদী ও তার ভাই সুজন মিলে চক্রটি গড়ে তুলেছিল।চিকিৎসা বিদ্যার আড়ালে অল্প বয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করত তারা। এসব ভিডিও এবং ছবি টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে এবং ভুক্তভোগীদের নানাভাবে যৌনকর্মে নামিয়ে গত সাত বছরে তারা শতাধিক কোটি টাকা হাতিয়েছে।
ভিডিও কলের সবকিছু গোপনে ধারণ করে রাখত তারা। মেয়েদের বাধ্য করা হত চক্রটির গ্রাহকদের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপনে। সেসবও একই কায়দায় গোপনে ধারণ করে রাখা হতো। এভাবে চক্রটির হাতে আধুনিক যৌনদাসীতে পরিণত হয়েছিলেন শত শত তরুণী।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে দেশ-বিদেশে চক্রটির রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন নামে তাদের শতাধিক চ্যানেলে গ্রাহক সংখ্যা কয়েক লাখ। বিভিন্ন বয়সী নারীদের ভিডিও কল ও যৌনকর্মে বাধ্য করে এবং গোপনে ধারণকৃত সেসব ভিডিও বিক্রি করে চক্রটি বিপুল টাকা কামিয়েছে। উপার্জিত অর্থে এই চক্রের সদস্যরা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় অনেক জমি কিনেছে। নির্মাণ করেছে চোক ধাঁধানো বাড়ি। অর্থ লেনদেনের জন্য তারা ব্যবহার করত এমএফএস বা মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস। ক্রিপ্টো কারেন্সিতেও তাদের হাজার হাজার ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুই ডাক্তারি পড়ুয়ার তালিকায় কয়েক হাজার নারী রয়েছেন যাদের অশ্নীল ছবি চড়া দামে বিক্রি হয়। অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপে গোপনে ধারণ করা প্রায় ১০ লাখ বিবস্ত্র ছবি ও ২০ হাজার ভিডিও পাওয়া গেছে।