কলকাতায় বন্ধ হয়ে গেল আরও বিরাট সংস্থার কারখানা! শিল্প কোথায়, প্রশ্নের মুখে রাজ্য

রাজ্যে শিল্প কোথায়? এই প্রশ্ন নিয়ে বারবারে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকার থেকে। সেই সিঙ্গুরের সময় থেকে ঘাসফুল সরকারকে একের পর এক শিল্প…

britania

রাজ্যে শিল্প কোথায়? এই প্রশ্ন নিয়ে বারবারে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকার থেকে। সেই সিঙ্গুরের সময় থেকে ঘাসফুল সরকারকে একের পর এক শিল্প সংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয়েছে । শুধু তাই নয়, ঘাসফুলের সময়ে রাজ্যে কতগুলি শিল্প গড়ে উঠেছে, এই নিয়ে রাজ্যের দেওয়া তালিকা এবং বিরোধীদের তালিকার সংঘাত আহবমান কাল ধরে চলছে। আর ঠিক লোকসভা ভোটের পরে রাজ্যে আরও এক বিরাট সংস্থার কারখানা আচমকা বন্ধ হয়ে যায় শুরু হয়েছে শোরগোল।

Advertisements

সপ্তাহের প্রথম দিনই ভোগান্তি শিয়ালদহ মেন শাখায়! জেনে নিন ভোগান্তির কারণ

   

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বন্ধ হয়ে গেল তারাতলা ব্রিটানিয়া কোম্পানি। কলকাতার বুকে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছিল ব্রিটানিয়া কোম্পানি। কারখানায় স্থায়ী কর্মী ছিলেন ১২২ জন। অস্থায়ী কর্মী ছিলেন ২৫০ জন। স্থায়ী কর্মীদের এককালীন ক্ষতিপূরণ দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা। এই কোম্পানিতে আড়াই হাজার টন উৎপাদন হত প্রতিবছর। কর্মীরা কাজে গিয়ে হঠাৎ করেই কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেখতে পান। বাংলার শিল্পে আরও এক দুঃসংবাদ।

বন্ধ স্কুল, জমি বেঁচে টাকার যোগান? মমতার প্রস্তাবে জোর জল্পনা!

Advertisements

যদিও এই বিষয় নিয়ে কারখানার তরফে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মীর বক্তব্য অনুসারে জানা গিয়েছে,কোম্পানিতে যাঁরা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করতেন, তাঁদের এক কালীন টাকা দিয়েছে কর্তপক্ষ। তাঁদেরকে এক কালীন ২২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ছ থেকে দশ বছরের নীচে যারা চাকরি করেছে, তাঁদেরকে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু ২০০৪ সাল থেকে এই কোম্পানি ক্যাজুয়াল স্টাফ নেওয়া শুরু করে। বর্তমানে এই কোম্পানিতে ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। তার নীচে যাঁরা চাকরি করেছেন, তাঁদেরকে ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে কোম্পানি।