গতবছর রণবীর কাপুরের মুম্বাইকে পরাজিত করে লিগশিল্ড জয় করেছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপারজায়ান্টস। যা নিঃসন্দেহে ইতিহাস। এই সাফল্যের দরুন নতুন সিজনে এএফসির আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চলেছে মেরিনার্সরা। এবার এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের টায়ার টুতে খেলতে দেখা যাবে পালতোলা নৌকা ব্রিগেডকে। এখন সেই দিকেই নজর রয়েছে সমর্থকদের। বলতে গেলে এই প্রথমবার এমন টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে সবুজ-মেরুন। যা নিঃসন্দেহে গৌরবের। তাই সবদিক মাথায় রেখেই নিজেদের ঘর গোছানোর কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুন: ISL: পরিসংখ্যানে কামিন্সকে টেক্কা দিয়েছেন দিমি-কৃষ্ণা
বিদেশী ফুটবলারদের পাশাপাশি দেশীয় ব্রিগেডকে শক্তিশালী করারও লক্ষ্য রয়েছে বাগানের। তাই লালরিনজুয়ালা লালবিয়াকনিয়া থেকে শুরু করে আপুইয়া সহ আরো একাধিক ফুটবলারদের দিকে নজর ছিল বাগান ম্যানেজমেন্টের। গত আইলিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা তথা লালবিয়াকনিয়াকে দলে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও চোট সমস্যা থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে আপুইয়াকে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে থেকেছে মেরিনার্সরা। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে তার সঙ্গে কথাবার্তা এগোনো হলেও খুব একটা ইতিবাচক ইঙ্গিত মেলেনি। গত কয়েকদিনেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে গোটা বিষয়টি। আপুইয়ার এবার বাগানে যোগদান করা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: ISL ক্লাবগুলোর চিন্তা বাড়াতে পারে এই জুটি
এসবের মাঝেই এবার মুখ খুললেন মোহনবাগান সচিব দেবাশীষ দত্ত। দল গঠনের প্রসঙ্গে একটি জনপ্রিয় মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আপুইয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক আগে থেকেই তার যোগদান নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল।আমি বলেছিলাম মুম্বাইতে খেলার সম্ভাবনা বেশি, তবে অন্যদলে খেললে মোহনবাগানেই খেলবে। আমাদের প্রতিপক্ষ মুম্বাই ছাড়া আর কেউ নয়। সেইসাথে পড়শী ক্লাবকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, কলকাতার একটি ফুটবল ক্লাব আমাদের থেকে বেশি দর দিয়েছিল।
কিন্তু সে মোহনবাগানেই সম্মতি দিয়েছে। তাছাড়া আমরা দীর্ঘ পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে এগোই। যেখানে খেলোয়াড়দের সমস্ত দিককে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাছাড়া ক্লাবের সঙ্গে ইনভেস্টরের সম্পর্ক ও যথেষ্ট গুরুত্ব রাখে। বিগত কয়েক বছরে সেদিক থেকে অনেকটাই ভালো পরিস্থিতিতে রয়েছে মোহনবাগান। তাছাড়া আমারা ফুটবলারদের যোগ্য সম্মান দিতে সক্ষম বলেই হয়ত এই ক্লাবে আসতে আগ্রহী সকলে।